রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪

ভূমিকম্পের সময় যে দোয়া পড়তে বলেছেন নবীজি


২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ 

ভূমিকম্পের সময় যে দোয়া পড়তে বলেছেন নবীজি
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ভূতত্ত্ববিজ্ঞান বলে, ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূপৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এমন আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প বলে। ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো মানুষের গুনাহেরই ফল। আল্লাহ বলেন, যে বিপদ-আপদই তোমাদের ওপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই।

ভূমিকম্প হওয়ার সময় মাটির দিকে বা নিচের দিকে তাকিয়ে আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা শারিকালাহু, ফাবি আইয়্যে আ’লাঈ রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান পড়তে থাকবেন যতক্ষণ ভূমিকম্প শেষ না হয়।

আজ শনিবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ছিল ৫.২ মাত্রার এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পন, মেঘের গর্জন, ঝড় তুফান, ঝড়বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি মহান আল্লাহ তাআলার মহাশক্তির এক ছোট নিদর্শন। রসুল সা. তার উম্মতকে যেকোনো দুর্যোগের সময়, বিপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে বলেছেন।

আরও পড়ুন

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান

মহান আল্লাহ বলেন, ‘বলে দাও, আল্লাহ তোমাদের উপর থেকে অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম’ (সুরা আনআম: ৬৫)। আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ভয় দেখানোর জন্যই (তাদের কাছে আজাবের) নিদর্শনগুলো পাঠাই।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৫৯)

সুতরাং ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো মানুষের গুনাহেরই ফল। আল্লাহ বলেন, ‘যে বিপদ-আপদই তোমাদের ওপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই। আর আল্লাহ তোমাদের অনেক (অপরাধ) ক্ষমা করে দেন।’ (সুরা শুরা: ৩০)

রসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি এ দোয়া তিনবার পড়বে সে ভূমি ও আকাশের দুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে। এ ছাড়া যে কোনো দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পড়তে পারেন, لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।

রাতে ঘুমানোর আগে একবার আয়াতুল কুরসি পড়ে নিতে পারেন। এ আয়াতের ফজিলত আল্লাহর কাছে অনেক বেশি। যে এ আয়াত পড়ে ঘুমাতে যায়, ঘুমন্ত অবস্থায় আল্লাহ তাকে, তার পরিবার ও প্রতিবেশীকে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

ﺃَﻧﺖَ ﻭَﻟِﻴُّﻨَﺎ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨَﺎ ۖ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟْﻐَﺎﻓِﺮِﻳﻦَ উচ্চারণ: আন্তা ওয়ালিয়্যুনা ফাগফিরলানা ওয়ার হাম্না , ওয়া আন্তা খইরুল গফিরিন। অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি যে আমাদের রক্ষক- সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের উপর করুনা করুন। তাছাড়া আপনি-ই তো সর্বাধিক ক্ষমাকারী। (সুরা আরাফ আয়াত ১৫৫)

এ ছাড়াও যে কোনো দূর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পড়তে পারেন এই দোয়া لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلّا بِاللهِ উচ্চারণ: ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ।’ (বুখারি ও মুসলিম)

لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনজ জ্বালিমিন।’ (সুরা আম্বিয়া: আয়াত ৮৭)

যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে। কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে, কিন্তু তা আত্মসাত করা হবে (অর্থাৎ যার সম্পদ সে আর ফেরত পাবে না)। জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে। ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করা হবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রীর বাধ্যগত হয়ে মায়ের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবে। বন্ধুকে কাছে টেনে নেবে আর পিতাকে দূরে সরিয়ে দেবে। মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল (কথাবার্ত) হবে। যখন সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসক রূপে আবির্ভূত হবে।

সে সময় তোমরা অপেক্ষা করো রক্তিম বর্ণের ঝড়ের (এসিড বৃষ্টি), ভূকম্পনের, ভূমিধসের, রূপ বিকৃতির (লিঙ্গ পরিবর্তন), পাথর বৃষ্টির এবং সুতো ছেঁড়া (তাসবিহ) দানার ন্যায় একটির পর একটি নিদর্শনগুলোর জন্য। (তিরমিজি, হাদিস ১৪৪৭)