জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
৩০ নভেম্বর ২০২৩, ২:২৬ অপরাহ্ণ
প্রতিবছর শীতের শুরুতে অনেকে সর্দি, কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত হন। তাছাড়া শীতের বৈরী আবহাওয়া ত্বকের জন্য বয়ে আনে নানান ধরনের সমস্যা। পাশাপাশি অনেক সময় ত্বকে হতে পারে বিভিন্ন রোগও। চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব কিছুটা বেশি দেখা দেয় শীতকালে। তাই সুস্থ থাকার জন্য ঋতুর এ পরিবর্তনে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। কিন্তু শীতে অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে পারে ৫ টি খাবার, যা খেলে দিব্যি তরতাজা থাকবেন আপনি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইরে থেকে যত্নের পাশাপাশি চাই ভেতর থেকে সুস্থতা। ' আজকের প্রসঙ্গের ' আজকের প্রতিবেদনে থাকছে শীতে যে ৫ টি খাবার নিয়মিত খাবেন এ নিয়ে বিশদ আলোচনা। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক, শীতে ভালো রাখে যে ৫ টি খাবার সেগুলোর নাম।
শীতে যে খাবার নিয়মিত খেলে আপনাকে সজীবতা ও সুস্থতা এনে দেবেঃ
শীতে শরীরের আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন দুই বেলা মাছ খেতে পারেন। খাবার টেবিলে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সামুদ্রিক মাছ রাখুন। এ ছাড়া মাছের সঙ্গে শিম যুক্ত করেও খেতে পারেন। শিম ভর্তা হিসেবেও অনন্য। শিম শুধু রসনাবিলাসই করে না, তার অন্য গুণও আছে। শিমে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন আর মিনারেলে সমৃদ্ধ। যাঁরা সরাসরি প্রোটিন খান না, অর্থাৎ মাছ-মাংস খাওয়া হয় না, তাঁদের জন্য শিমের বিচি শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারে। আর শীতে নিয়মিত শিম খেলে ত্বকও ভালো থাকবে।
শীতের রোগবালাই দূর করতে এ মৌসুমের মূলজাতীয় সবজি দারুণ কার্যকর। বিট, মিষ্টি আলু, গাজর, শালগমের মতো নানা সবজি শীতে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। এসব সবজিতে থাকা ভিটামিন ও নানা পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এগুলো ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে সবজি শীতকালে দেহের উষ্ণতা বাড়াতে সাহায্য করে।
শীতের টক ফল বরই চিনেন না এমন মানুষ পাওয়া ভার। কিন্তু কথা হচ্ছে বরই সবার জন্য ভালো হলেও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খেতে মানা। কেননা পাকা বরইয়ে চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের পাকা বরই না খাওয়াই ভালো। শরীরে ফাইবার বা আঁশের ঘাটতি মেটাতে ভিটামিন 'সি' এর জোগান দিতে শীতের সময় বেশি করে টকজাতীয় ফল খেতে পারেন। কমলা, বরই, পেয়ারা হতে পারে ভিটামিন 'সি' দারুণ উৎস। পেয়ারায় আরও অনেক বেশি ভিটামিন সি থাকে, যা অনেক বেশি প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বরইয়ে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ আছে নানা কিছু। রোগ প্রতিরোধে যেমন ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।
শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও সুস্থ থাকতে পালং শাক খেতে পারেন। পুষ্টিতে ভরপুর পালংয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যানসারপ্রতিরোধী গুণের কারণে এটি 'সুপারফুড' হিসেবে পরিচিত। সবুজ পাতার এ শাক দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে পারে। পালংয়ে ভিটামিন ও মিনারেল আছে, এতে ক্যালরি থাকে কম। তাই ওজন কমাতে খাবারে বেশি করে পালং রাখতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ওজন বেশি, তাঁরা নিয়মিত পালং শাক খেলে বাড়তি ওজন কমে যায়। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনি সুস্থ থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।
শীতে শরীরকে একটু বেশি চাঙ্গা রাখতে বা আরাম পেতে স্যুপ দারুণ উপকারী। ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় গরম-গরম চুমুক। বলা চলে শীতেই স্যুপের আসল মজা। শীতের বিকেলে বা রাতের খাবারে ধোঁয়া ওঠা এক বাটি স্যুপ হলে কিন্তু মন্দ হয় না। এতে শরীর থেকে একটু হলেও কাটবে ঠান্ডার রেশ। শরীর সুস্থ রাখতে শীতের সময় নানা সবজি আর মুরগির মাংস বা ডিম দিয়ে বানিয়ে খেতে পারেন স্যুপ।
সবশেষে এটাই বলবো, শীত ঋতুতে সবাইকে শরীরের প্রতি একটু বাড়তি খেয়াল বা যত্ন নিতে হবে। শীতে যে ৫ টি খাবার খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সেগুলো যোগ করে ফেলুন। কারন 'স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।'