
বগুড়ায় ফ্রিল্যান্সারকে অপহরনের দায়ে সাব-ইন্সেপেক্টরসহ পুলিশ আটক
৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ অপরাহ্ণ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বর্তমান সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে গুলশানের বাসভবনে নিজ অনুসারীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এমন ঘোষণা দেন। বৈঠক শেষে তিনি একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এর আগে রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু মুসা সরকার নামের দলের এক নেতাকে মনোনয়ন দেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এই আসনে এত দিন রওশন এরশাদ নির্বাচন করতেন। অনুসারীদের মনোনয়ন না দিলে রওশন এরশাদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না, এমন সিদ্ধান্ত জানতে পেরেই তাঁর বিকল্প প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে রাতেই গুলশানের নিজ বাসভবনে অনুসারীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রওশন এরশাদ। বৈঠকে মনোনয়নবঞ্চিত রওশনপন্থী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের, আমি দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব সহযোগিতা না করায় দলের পরীক্ষিত নেতা–কর্মীদের মনোনয়ন প্রদান করা হয়নি। দলের নেতাদের অবমূল্যায়ন করায় নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গত ২৭ নভেম্বর ২৮৯টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি। এরপর পর্যাক্রমে ৩টি ছাড়া প্রায় সব আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে দলটি। তবে রওশন এরশাদ ও তার অনুসারী মসিউর রহমান রাঙাসহ এখনও তাদের অনেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরেই রয়ে গেছেন। রওশনের জন্য ৩টি আসন ফাঁকা রাখা হলেও তিনি ও তার ছেলে সাদ এরশাদ এখনও মনোনয়ন ফরম নেননি।
এরই মধ্যে গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রওশন এরশাদের জন্য খালি রাখা ময়মনসিংহ-৪ আসনে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
দলের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দিষ্ট আসনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে বিরোধ চলছিল।