বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছি না: কাদের সিদ্দিকী


২৯ নভেম্বর ২০২৩, ৫:৩৬ অপরাহ্ণ 

প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছি না: কাদের সিদ্দিকী
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাসাইল-সখীপুর নিয়ে গঠিত আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাইনি, যাচ্ছি না। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে এটা স্বতঃসিদ্ধ কথা।

বিএনপি এখন দেশের কথা ভাবছে না। তারা আন্তর্জাতিক ক্ষমতার মাধ্যমে সরকারে যেতে চেষ্টা করছে, বলেন কাদের সিদ্দিকী।

আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারজানা আলমের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত ২৬ নভেম্বর আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এই আসনে সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনুপম শাহজাহান জয় নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।

১৯৯৬ সালে টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য হন কাদের সিদ্দিকী। দলের সঙ্গে বিরোধের জেরে তিন বছর পর আওয়ামী লীগ ছেড়ে তিনি গঠন করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। ২০০১ সালে সেই দলের হয়েই গামছা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী এই আসন থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যান।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে আনার চ্যালেঞ্জের প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, কেন্দ্রে ভোটার না এলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আর প্রচুর ভোটার কেন্দ্রে এলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমত প্রার্থীদের ভোট দিতে পারল কি-না এটাই হচ্ছে আমার কাছে বড় কথা। কোন দল এল আর কোন দল এল না এটা আমার কাছে বড় কথা না। বড় কথা হচ্ছে, সরকারি প্রভাবমুক্ত স্বতঃস্ফুর্ত নির্বাচন হল কি-না। দেশে আজ অস্থিতিশীল অবস্থা। এখান থেকে আমাদের পরিত্রাণ পাওয়া উচিত।

এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা ও উপজেলা শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠনের পর কাদের সিদ্দিকীকে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেছে। এই সময়টাতে তার যোগাযোগ বাড়ে বিএনপির সঙ্গে।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির ২০ দলীয় জোটের পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে যে জোট গঠন করা হয়, তাতেও অংশ নেয় কাদের সিদ্দিকীর দল। জোট থেকে তাকে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে খেলাপি ঋণের অভিযোগে দুটি মনোনয়নই বাতিল হয়ে যায়।

পরে টাঙ্গাইল-৮ আসনে মনোনয়ন পান তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী। তবে নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরে যান বড় ব্যবধানে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোয়াহেরুল ইসলাম পান ২ লাখ ৮ হাজার ৩৩৪ ভোট। কুঁড়ির বাক্সে পড়ে ৭২ হাজার ২১১ ভোট।

এবার অবশ্য টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম মনোনয়ন পাননি। এই আসনে সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনুপম শাহজাহান জয় নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে। ২০১৪ সালে শওকত মোমেনের মৃত্যুর পর অনুপম উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।