ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো'র ১০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র্যালি
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩৪ অপরাহ্ণ
নিবন্ধন করা ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি অংশ নিচ্ছে | ছবি: আজকের প্রসঙ্গ
গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন |
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৭ জানুয়ারী। এতে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ৩০টি দল প্রার্থী মনোনয়নসহ নানান কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলো হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি- জেপি (মঞ্জু), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু), জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মুকিত), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট (মুফতী আমিনী প্রতিষ্ঠিত), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বিএসপি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও গণফোরাম।
এর বাহিরে তফসিল পরিবর্তন হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত মজলিস- এই দুটি দল নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। আর ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশ জাসদ এখনও দরকষাকষিতে আটকে রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, নিবন্ধন করা ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি অংশ নিচ্ছে, তাই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে যাচ্ছে। ২০১৪ ও ১৮ সালে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে সেদিকে যেতে চাচ্ছি না, সেই অভিজ্ঞতাও নেই। কারণ, এই কমিশন তখন ছিলো না।
কমিশনার রাশেদা সুলতানা দাবি করেন, এখনকার কমিশন একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে তফসিল পেছানোর বিধি অনুযায়ী সুযোগ থাকলে পেছানো হবে। এছাড়া এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। কিন্তু তাদের বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।