জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
২৭ নভেম্বর ২০২৩, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন বলে গুঞ্জন চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালত থেকে আজ (২৭ নভেম্বর) সোমবার বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
একরামুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, আগামী সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেবেন। এ জন্য তিনি আজ আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়েছেন। এ বিষয়ে অবশ্য একরামুজ্জামান এখনই কিছু বলতে রাজি হননি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, ২ নভেম্বর সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে বিস্ফোরক আইনে ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়। নাসিরনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের কাঁশফুল রেস্তোরাঁর সামনে ওই দিন রাত আটটার দিকে সরকারি কাজে বাধাদান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। ওই মামলায় সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে নিজ গাড়িতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালত চত্বরে আসেন একরামুজ্জামান। পরে তিনি আইনজীবী সমিতি ভবনের তৃতীয় তলায় এক আইনজীবীর কক্ষে বসেন। দুপুর দিকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে (নাসিরনগর আমলি আদালত) বিস্ফোরক আইনের ধারার এক মামলায় হাজিরা দেন।
আইনজীবীদের শুনানির একপর্যায়ে আদালতকক্ষে উপস্থিত জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মামুন বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি এই মামলায় ওনাকে (একরামুজ্জামান) জামিন দেন। কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সব অপরাধী যেন সমান বিচার পায়, সেদিকটি বিবেচনার অনুরোধ করি। একই মত দেন জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান চৌধুরী। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রকিবুল হাসান শুনানি শেষে তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতে একরামুজ্জামানের পক্ষে জামিন শুনানি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম। তিনি বলেন, ঢাকার একটি মামলায় ২ নভেম্বর ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন একরামুজ্জামান। ওই মামলাতেও সেদিন আদালত তাঁকে জামিন দেন।
আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান বলেন, আমি মাত্র জামিন পেয়েছি। একটু স্থির হতে দেন আমাকে। এরপর চিন্তা করব। তৃণমূল বিএনপির থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, আমি তৃণমূল বিএনপি থেকে কোনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার বিষয়ে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তো যে কেউই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারে। আমি আগে স্থির হতে চাই। এখনই কোনো কিছু খোলাসা করতে চাচ্ছি না।
আজ বেলা ৩টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হয়। তাঁর পক্ষে মো. বকুল মিয়া নামে একজন মনোনয়নপত্রটি সংগ্রহ করেছেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কাউসার আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।