সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
বাবার প্রশ্ন

সুপারভাইজার ফয়সাল কীভাবে দোষী!


৩১ জুলাই ২০২৩, ৪:২০ অপরাহ্ণ 

সুপারভাইজার ফয়সাল কীভাবে দোষী!
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ঝালকাঠির বাস দুর্ঘটনায় সুপারভাইজার ফয়সাল কীভাবে দোষী প্রশ্ন বাবার। নির্দোষ দাবী পরিবারের। ফয়সালের বয়স ১৮ বছরের কম। এ মামলা থেকে ছেলের অব্যাহতি চায় বাবা।

ঝালকাঠিতে ‘বাসার স্মৃতি’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হলেও বেঁচে গেছেন বাসের ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজার। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি মামলা ধায়ের করেন। মামলায় ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আসামী করা হয়। ইতোমধ্যে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বাসটির চালক মোহন এবং সুপারভাইজার ফয়সাল ওরফে মিজান তারা দুজনে জেল হাজতে রয়েছেন। তবে সুপারভাইজার ফয়সালকে নির্দোষ দাবী করছে তার পরিবার।

ফয়সালের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, ‘কী দোষ ছিল আমার ছেলের। সে তো গাড়ি চালায়নি, বাস যাত্রীদের টিকিট চেক করা ছিল তার দায়িত্ব। অথচ বিনা অপরাধে আমার ছেলেকে মামলার আসামী হতে হলো, বিনা দোষে সন্তান আজ জেলে। আমি দিনমজুর। আমার কাজ বন্ধ করে সন্তানের জন্য ছোটাছুটি করছি। আমার স্ত্রী সারা দিন কান্নাকাটি করছে।’

তিনি আরও জানান, ‘দুর্ঘটনার সময় আমার ছেলে ফয়সাল বাসের ছাদে ছিল, সামনের স্টপেজে একটি কার্টুন নামাতে হবে তাই সে ছাদে উঠেছিলো। ভিতরে থাকলে এ দুর্ঘটনায় আমার ছেলেও মারা যেতো। ফয়সালের বয়স ১৮ বছরের কম। আমি এ মামলা থেকে আমার ছেলের অব্যাহতি চাই।’

বাসটির সুপারভাইজার ফয়সালের স্বজনরা দাবি করছেন, ফয়সাল নিরপরাধ। স্বজনরা জানান, মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে সরকারি জমিতে যিনি পুকুর কেটেছেন, তিনিই হবেন এ মামলার আসামী। কিন্তু তিনি আসামীর তালিকায় নাই। এ ছাড়া ভারী লাইসেন্স ছাড়া চালককে দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ‘বাসার স্মৃতি’ পরিবহনের মালিক আবুল কালাম আকন। তাকেও এ মামলায় আসামী করা হলো না, এটা দুঃখজনক।

ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ও বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটির মালিক ঝালকাঠি শহরের কাশারিপট্টির আবুল কালাম আকন। বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক মো. মোহন। তার বাড়ি নলছিটি উপজেলার রায়াপুর গ্রামে। সুপারভাইজার ফয়সাল ওরফে মিজান জেলার রাজাপুর উপজেলার বাসিন্দা। বাসের হেলপার আকাশ বরগুনার বাসিন্দা।

গত ২২ জুলাই বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় ‘বাসার স্মৃতি’ নামের যাত্রীবাহী বাসটি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। এটি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ঝালকাঠি যাচ্ছিল। এতে ১৭ জন যাত্রী নিহত হন। ঘটনার একদিন পরে ঝালকাঠি সদর থানার এসআই সুশংকর বাদী হয়ে একটি মামলাটি করেন। এতে বাসের চালকসহ তিনজনকে আসামী করা হয়।