খুকৃবিতে "জুলাই শহীদ স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট" উদ্বোধন
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটে চলছে অস্থিরতা | ছবি: আজকের প্রসঙ্গ
গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন |
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটে চলছে অস্থিরতা। আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া নেতাদের মীরজাফর ও পেশাদার স্বার্থপর উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা বলছেন, এতে আন্দোলনে কোন প্রভাব পড়বে না। চলমান আন্দোলন সফলতার দিকে এগুচ্ছে দাবি করে তারা বলছেন, বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন কখনো অংশগ্রহণমূলক ও অর্থবহ হবে না।
গত শনিবার ২৮ অক্টোবরের পর থেকে একদিকে আন্দোলন, অন্যদিকে ঘর সামলানো - উভয় সংকটে বিএনপি। এ সংকট কাটাতে আন্দোলন জোরদারের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়িয়েছে দলটি। এর মধ্যে তাদের নতুন চ্যালেঞ্জ - যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেয়া ঠেকানো।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গড়ে উঠা নতুন দলে যোগ দিয়ে কয়েকজন নেতার নির্বাচনে অংশ নেয়া, তৃণমূল বিএনপির দৌড়ঝাঁপ, দীর্ঘদিনের মিত্র কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণায় বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে বিএনপিকে। সন্দেহ দানা বেঁধেছে আন্দোলনে থাকা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে। ফলে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে সমমনা দল ও জোটে চলছে অস্থিরতা।
দলছুটদের পেশাদার স্বার্থপর বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, দু-চারজন বিপথগামী-স্বার্থবাদী ক্ষমতার জন্য বিএনপিতে যোগ দিয়েছিল, এখন বিএনপি ক্ষমতায় নেই। তাই তারা ব্যক্তিস্বার্থে আবার তাদের পুরনো চেহারায় ফিরে যাচ্ছে। এতে আন্দোলনে কোন প্রভাব পড়বে না। চাপ কিংবা প্রলোভন দেখিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা দলের সংখ্যা বাড়াতে সরকার অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। বিএনপি ছাড়া কোনো নির্বাচন দেশে অর্থবহ হবে না।
অনেকটা একই সুরে কথা বললেন বিএনপির আরেক আইনজীবী নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ক্ষমতা নবায়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যত চেষ্টা হোক, আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে সরকারকে। এ সময় আবারও নির্বাচনে না যাওয়ার প্রত্যয় জানান। আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যে ষড়যন্ত্র করেছিল, সেই বিনাভোটে সরকার গঠনের একই ষড়যন্ত্রের দিকে তারা এগুচ্ছে। কিন্তু এবার তারা পার পাবে না। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বাকি দল এবং নির্বাচন বিরোধীদের পাশে নিয়ে বিএনপি চলমান আন্দোলনকে সফল করার ব্যাপারেও প্রত্যয়ী নেতারা।
এদিকে, ‘সরকারের পতন না-হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন দমানো যাবে না। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না। আন্দোলন দমাতে দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়ার পর এখন গায়েবি সাজা দেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে মৃত ব্যক্তি ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও সাজা দেওয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা চক্রান্তমূলক এবং অবৈধ সরকারের নির্দেশেই দেওয়া হচ্ছে বলে আবারও প্রমাণিত হলো। কিন্তু গায়েবি মামলা ও গায়েবি সাজা দিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। অবৈধ ক্ষমতাকে আর বৃদ্ধি করা যাবে না।