শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম


তিন পৌর কাউন্সিলসহ ৩৯ জনের নামে মামলা, আটক-১

১৯ নভেম্বর ২০২৩, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ 

ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি | ছবি: আজকের প্রসঙ্গ

  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ঝালকাঠিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনকে কুপিয়ে হত্যা চেস্টার ঘটনায় জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও তিন পৌর কাউন্সিলরসহ ৩৯ যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা হয়েছে।

শনিবার রাতে আহত সৈয়দ মিলনের স্ত্রী মারিয়া ইয়াসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ঝালকাঠি থানার মামলা নং ১৮ তারিখ ১৮/১১/২০২৩।

মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও ঝালকাঠি পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর কামাল শরীফসহ তিন কাউন্সিলরের সহযোগিসহ মোট ৩৯ জন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ১২০জনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে।

ছবিঃ আজকের প্রসঙ্গ

গত ১৬ নভেম্বর সকাল নয়টার দিকে শহরের পোস্ট অফিস সড়কে বিএনপি আহুত অবরোধ বিরোধী মোটরসাইকেল মহড়ার সময় যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক দাবীদার সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ সাতজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

ঠিকাদারী ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলল হাফিজ আল মাহমুদ এর সাথে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত সৈয়দ মিলনের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মামলার বাদী মারিয়া ইসলাম বলেন, গত ১৬ নভেম্বর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তিন পৌর কাউন্সিলর জাকির, হাফিজ ও কামালের নেতৃত্বে প্রায় ১৬০জন সন্ত্রাসী আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা চেস্টা করে। আমি তাদের নামে মামলা করেছি। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।