রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

পটুয়াখালী জেলায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক


১৮ নভেম্বর ২০২৩, ৫:৩১ অপরাহ্ণ 

পটুয়াখালী জেলায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে পটুয়াখালীতে ভেঙেছে কৃষকের মেরুদণ্ড। ঘূর্ণিঝড়ে অতিবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার ছোবলে জেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বছরের খোরাকি নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আগামীতে চাল কিনে খেতে হবে এমনটাই আশঙ্কা করছেন এ জেলার কৃষকরা।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে রূপ নিয়েে এ জেলায় গতকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে  উপকূলে আঘাত হানে। এরপর সেটি দুর্বল হয়ে আবারো নিম্নচাপে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়টি কেড়ে নেয় কৃষকের একমাত্র আয়ের পথ। তাদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছর কোনো না কোনো দুর্যোগ হানা দেয় উপকূলীয় এই জেলায়। কৃষকের এ সময়ের একমাত্র আয়ের উৎস আমন ধান। এ বছর জেলায় ০১ লাখ ৯০ হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই এ জেলায় দেখা দেয় প্রচণ্ড খরা ও অনাবৃষ্টি। এতে আমন আবাদ ব্যাহত হয়। তারপরও কৃষকরা অনেক কষ্ট করে ধান আবাদ করেন। কিন্তু ক্ষেতে ফলন ধরার পরপরই এসে হাজির ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। এতে জেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটুয়াখালী খেপুপাড়া ,গলাচিপাসহ জেলায় ৮টি উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের পানিতে তলিয়ে আমন ধান মিশে গেছে মাটির সঙ্গে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, জেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই তাদের এখন না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হবে। সরকার যদি কৃষকদের সার, বীজ দিয়ে সাহায্য না করে তাহলে আর সামনে কোনো ফসল ফলাতে পারবেন না বলে জানান তারা।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষকরা বলেন, কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে আমার সবকিছু শেষ হয়ে গছে। আমাদের সবকিছু এই ধানের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখন যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এতে বছরের খোরাকি হবে না। আগামীতে আমাদের চাল কিনে খেতে হবে।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতির কথা স্বীকার করে পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকের আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে; যার আনুমানিক মূল্য ৬০ কোটি টাকা। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা দেয়ার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।