রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি প্রভাবে ২ জনের মৃত্যু, বিধ্বস্ত সাড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি


১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১:০৩ অপরাহ্ণ 

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি প্রভাবে ২ জনের মৃত্যু, বিধ্বস্ত সাড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে গাছচাপায় মিরসরাইয়ে এক শিশু এবং সন্দ্বীপে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে এই পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিন, উপজেলার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় কাটাবিল এলাকায় গাছচাপায় সিদরাতুল মুনতাহা আরিয়া (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে ওই এলাকার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ে।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, বিকেলে বাড়ির সামনে খেলার সময় প্রচণ্ড বাতাসে একটি গাছের ডাল ওই শিশুর উপর পড়লে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি'র প্রভাবে প্রবল বর্ষন

এর আগে শুক্রবার বিকেলে সন্দ্বীপ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় গাছচাপা পড়ে আরও এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই বৃদ্ধের নাম আবদুল ওহাব (৭০)। তিনি ওই এলাকার হানিফ মাস্টার বাড়ির বাসিন্দা।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেলে ওহাব নামে ওই ব্যক্তি আসরের নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রবল বাতাসে গাছের একটি ডাল ভেঙে তার ওপর পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আঘাতে ভোলা জেলায় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলায়। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলায় পাঁচ শতাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসল ক্ষেতের।

আরও পড়ুন

ঘূর্ণিঝড়ের দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

জেলার সাত উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রথামিক তথ্যে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলায় ১০ ঘর পুরোপুরি ও ২০টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৫টি ঘর, লালমোহনে ৫০টি, মনপুরায় ৫২টি এবং চরফ্যাশনে ২১৯টি কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় সব উপজেলায় আমন ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, মূলত দুপুরের আগ থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোলায় ঝড়টির তাণ্ডব চলে। এ সময়ে ভোলায় অনেক ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মনপুরায় তিন জেলে নিখোঁজ থাকার দুই ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করা হয়। জেলার প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করছেন। এখনও সঠিক তথ্য বলা যাচ্ছে না। তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।