জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
৭ নভেম্বর ২০২৩, ৩:৩৩ অপরাহ্ণ
নীরবে নিভৃতে সমাজের অনেক মানুষ মানবতার জন্য কাজ করে যান,সমাজের খুব কম মানুষই তাদের চিনেন। এমন একজন মানুষ শিক্ষক সোহাগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন ৬৫ নং ধানখালী হাই/এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ছাত্র জীবনে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। ছাত্র জীবনে কস্ট করে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ধানখালী ডিগ্রি কলেজের প্রথম জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্র আসাদুজ্জামান সোহাগ ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কৃতিত্বের সাথে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন ৬৫ নং ধানখালী হাই /এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
তিনি ছাত্র জীবনে বহু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসহায় মানুষের জন্য মানুষের কাছে সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন। অনেক মানুষ উপকৃত হয়েছে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বহু অসহায় মানুষকে সাহায্য করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে জীবন যাপন করছেন তিনি।
কোন অসহায় ছাত্র/ছাত্রী তার কাছে গেলে নিজের পকেট থেকে ফি টাকা সহ প্রাইভেটও ফ্রী করে দেন। কথা হয় প্রতিবেদকের সাথে,তিনি বলেন-"আমি খুব কষ্ট করে মানুষ হয়েছি। নিজেদের অনেক সহায় সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ভোগ দখল করতে পারিনি। তাই মানুষের কষ্ট টা সহজেই বুঝতে পারি। কোন মানুষ অসহায় হয়ে আমার কাছে আসলে আমি তাকে সহায়তা করার চেষ্টা করি। আমার আল্লাহ আমাকে খালি পকেটে রাখেননা। আমি সারা জীবন মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমার জীবনের এত বেশি চাহিদা নাই।কোন রকম বাবা,মা,ভাই,স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জীবন যাপন করতে পারলেই আমি খুশি। আমি যেমন কষ্ট করেছি,আমার সন্তানও তেমন কষ্ট করে মানুষ হউক।তার ভবিষ্যতের জন্য জমা করার মত ভাবনা আমার নাই।
জানা যায়, তার বাড়ির পাশে জসীম প্যাদার ছেলে সাইমুন(৪) বছর বয়স। অন্ডকোষ ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি নিজে, অসুস্থ সাইমুন ও তার বাবা-মাকে সাথে নিয়ে বাজার ঘাটে সাহায্য তুলে দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য করার অনুরোধ করেন। অনেকে ৫০০/১০০০/২০০০ করে টাকা দেন। তিনি এই অসহায় পরিবারের আশার ভরসা।
জসীম প্যাদার স্ত্রীর জানান, সোহাগের বাবা অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। তিনি আমাদের পাশে দাড়িয়েছেন। আমরা তার ঋণ শোধ করতে পারবোনা।
একান্ত আলাপকালে সোহাগ স্যার জানান, সমাজের বিত্তবান ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা যেন অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। অন্ডকোষ ক্যান্সার আক্রান্ত সাইমুনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের মধ্য চালিতাবুনিয়া গ্রামে।
যদি কেউ সাহায্য করতে চান বা বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সোহাগ স্যারের ফোন নাম্বার ০১৭৬২১৮১৭৬৫ এই নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। মানবতা বেঁচে থাকুক,বেঁচে থাকুক অসহায় শিশু সাইমুন। আসুন সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।