বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

ছাত্রলীগ বিরোধী পোস্ট, তোলপাড় আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে


৩১ জুলাই ২০২৪, ৫:৫৬ অপরাহ্ণ 

ছাত্রলীগ বিরোধী পোস্ট, তোলপাড় আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে

ছবি/ সংগৃহীত |

  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বুধবার মতবিনিমিয় সভা ডেকেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানে  ড. আব্দুর রাজ্জাককে সভাস্থলে দেখে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা চিৎকার করে  ওঠে বলেন, ‘তিনি (ড. আব্দুর রাজ্জাক) এখানে কেন?’ ‘তার ছেলে কেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট করেছেন’, এটির উত্তর জানতে চান সাবেক নেতারা।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এমন বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। 

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। এ সভায় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে হাজির হন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। 

এ ঘটনার পর সাবেক কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির বড় ছেলে রেজুয়ান শাহরিয়াম সুমিতের ফেসবুক ওয়াল ঘেটে একটি পোস্ট পাওয়া গেছে; এটিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয় কার্যালয়ে।

সেখানে তিনি লেখেন, ‘এরা (ছাত্রলীগ) বুক ফুলিয়ে যতই ‘জয় বাংলা’ বলে চেঁচাক, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ এর আজকের এই ছাত্রলীগের কোনো ধরনের সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। আজ এরা চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, অর্থলোভী পঙ্গপাল ছাড়া কিছুই নয়। 

আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় না গিয়ে এই পঙ্গপাল বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া কোনো আদর্শের রাজনীতি আমি জানি না, তবে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি বা দর্শনের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই, তা ঢের বলতে পারি।

সরকারের সমালোচনা করে দেওয়া সেই স্ট্যাট্যাসে রাজ্জাকপুত্র কবি শামসুর রাহমানের একটি কবিতার লাইন জুড়ে দেন- ‘রাজু, তুমি মেধার রশ্মি-ঝরানো চোখ মেলে তাকাও তোমার জাগরণ আমাদের প্রাণের স্পন্দনের মতোই প্রয়োজন।

মূলত কোটা আন্দোলন ইস্যুতে ছাত্রলীগকে আক্রমণ করে ১৭ জুলাই নিজের ফেসবুক ওয়ালে ওই পোস্ট করেন সুমিত।

এদিকে শুধু আব্দুর রাজ্জার নয়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের তোপের মুখে পড়েন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। বুধবার সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময় সভায় ডেকে আলোচনা না করে সংবাদ সম্মেলন করায় হট্টগোল শুরু হয়।

এসআর/৩১/৯