উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী কুবি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন মেরী
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১:৫৩ অপরাহ্ণ
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনায় দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল মিল্লাত বলেন, ‘আমাদের মিছিল ছিল খুবই শান্তিপূর্ণ। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে রিফাত ও বিল্লাল নামে আমাদের দুইজন নেতা মারা যান।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নে আঞ্চলিক সড়কের অবস্থান নেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অবরোধের প্রথম দিনে ছয়সূতি ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নিয়ে উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাওয়ামাত্র আগে থেকে অবস্থান নেওয়া পুলিশ সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ২০ থেকে ২৫ জন আহত হন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে কৃষকদল কর্মী বিল্লাল হোসেন (৩০) ও ছাত্রদল কর্মী রেফায়েত উল্লাহ (২০) নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালে প্রিন্সের দাবি, আমাদের দুজন কর্মী নিহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে তারা মারা গেছে।
ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রোকন উদ্দীন বলেন, আমাদের হাসপাতালে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তার নাম রেফায়েত উল্লাহ। বয়স ২০ বছর। তার বাড়ি উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন বড় ছয়সূতী গ্রামে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মস্তুফা বলেন, মিছিলকারীরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালান। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হন। তাঁদের অনেকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওসি বলেন, তাঁর জানামতে এ ঘটনায় একজন মারা গেছেন। তবে সেটি গুলিতে, নাকি অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন, তা নিশ্চিত নয়।
তবে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ একজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কীভাবে ওই যুবক নিহত হয়েছেন তা এখনও বলা যাচ্ছে না। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানা যাবে।