৭৪ বছরে পা রাখলো মোংলা বন্দর
মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১:২০ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মিরপুরে ইপিলিয়ন পোশাক কারখানা আন্দোলনরত কর্মীদের ওপর স্থানীয় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বেশ কয়েকজন পোশাককর্মী আহত হন। এরপরই পোশাককর্মীরা পোশাক কারখানায় হামলা চালান এবং গলি থেকে বের হয়ে মূল সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় আশপাশের পোশাক কারখানার কর্মীরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে পল্লবী মেট্রো রেলস্টেশন এলাকার সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন পোশাককর্মীরা। শ্রমিকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে অবস্থান করছেন। তাঁরা গলিতে ইপিলিয়ন কারখানা ও আশপাশের ভবনের সিসিটিভি ভাঙচুর করেছেন। মিরপুর-পল্লবীর মূল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় ইপিলিয়ন গ্রুপের পোশাককর্মীদের অভিযোগ, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করার সময় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তবে অভিযোগ সম্পর্কে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ইপিলিয়ন গ্রুপের ওই কারখানার কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে কারখানার সামনের গলিতে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একদল নেতা-কর্মী তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় কয়েকজন আহত হন। এতে পোশাককর্মীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ইপিলিয়নের কারখানার আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
ইপিলিয়ন কারখানার শ্রমিকরা বলেন, আজ সকালে বেতন বাড়ানোর বিষয় নিয়ে ইপিলিয়ন গ্রুপের প্রশাসনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছিলেন। এ সময় তাঁদের ওপর হামলা হয়। তাঁদের অনেকেই আহত হয়েছেন।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর হামলা হওয়ার পর তাঁরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। পল্লবী মেট্রো রেলস্টেশন এলাকার সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন পোশাককর্মীরা। শ্রমিকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে অবস্থান করছেন। তাঁরা গলিতে ইপিলিয়ন কারখানা ও আশপাশের ভবনের সিসিটিভি ভাঙচুর করেছেন। মিরপুর-পল্লবীর মূল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে, গতকাল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় পথে নেমেছেন পোশাক শ্রমিকরা। সকাল ৮টা থেকে পোশাককর্মীরা বেগম রোকেয়া সরণিসহ মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্ত্বর ও ১৪ নম্বর এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। আরেকটি গ্রুপ জড়ো হয় মিরপুর ১১ নম্বর এলাকায়। এ সময় ১০ ও ১১ নম্বর এলাকা এবং কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া এলাকায় বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।