বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫

বিএনপির পর আ.লীগও পিছিয়ে দিল সমাবেশ


২৭ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ 

বিএনপির পর আ.লীগও পিছিয়ে দিল সমাবেশ
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

মহাসমাবেশ এক দিন পিছিয়েছে বিএনপি—বুধবার(২৬জুলাই)  রাতে এই খবর প্রচারিত হয়। এর পরপরই শোনা যায়, আওয়ামী লীগও তিনটি সংগঠনের যৌথ সমাবেশ পিছিয়েছে।

শুক্রবার(২৮জুলাই) বিএনপির সাধারণ সভার দিনই আওয়ামী লীগ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম তিনটি সংগঠন সমাবেশ করবে। ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ শীষর্ক এই সমাবেশ হবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে। 

এর আগে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসমাবেশের স্থান নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ‘দর–কষাকষি’ হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগও সমাবেশের কয়েকটি সম্ভাব্য স্থান নিয়ে গত রাত ৯টা পর্যন্ত নানা ধরনের তৎপরতা চালায়। রাত ৯টার দিকে প্রথমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তাঁদের মহাসমাবেশ বৃহস্পতিবারের (আজ) পরিবর্তে শুক্রবার হবে। এর আধা ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগও জানায়, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ সমাবেশটি হবে শুক্রবার, বেলা আড়াইটায়। 

গত রাত পৌনে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে সম্প্রতি পরিবেশ মেলা হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু গর্ত রয়েছে। পরিবেশ মেলার কিছু অবকাঠামোও রয়ে গেছে। ফলে মাঠটি বৃহস্পতিবার সমাবেশ করার মতো উপযোগী নয়। এক দিন কাজ করে প্রস্তুত করার পর শুক্রবার ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ হবে।

গত রাতেই বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা আগারগাঁওয়ের মাঠটি পরিদর্শন করেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে এমন আলোচনা আছে, বিএনপি মহাসমাবেশের মাধ্যমে ‘ঢাকা অচল’ করে দেওয়ার চিন্তা করছে। এমনকি সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও ঘেরাও করতে পারে দলটি।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশের রাজনীতি ও আগামী নির্বাচনের বিষয়ে দৃষ্টি রাখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। এ জন্য বিএনপিকে মহাসমাবেশ করতে বাধা দিতে চাইছে না সরকার। কিন্তু মহাসমাবেশের অনুমতির ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি করে, তাদের সমাবেশকে ছোট জায়গায় ঠেলে দেওয়া, এমনকি বড় জমায়েত যাতে না হয়, সেই কৌশল হাতছাড়া করতে চায় না সরকার।