খুকৃবিতে ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষা সফর
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত নুরুজ্জামান (৪৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ দুই দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজামখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ি বিওপির সীমান্তের ৩৮০ নম্বর পিলার দিয়ে মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়। মরদেহটি বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের কাছে সকালে ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তা ফেরত দেয় সন্ধ্যার দিকে। নিহত যুবক আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই গ্রামের তসলিম উদ্দিন ছেলে।
ভারতের ১৫২ বিএসএফের সোনামতি কোম্পানি কমান্ডার টিসি রাজিব চন্দ্র রায়, বেউরঝাড়ি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সামসুল আলম, উত্তর দিনাজপুর লোহার ইসলামপুর থানার এসআই রায়মোনের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই আব্দুস সোবহানকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ নিহতের বড় ভাই নবিরুলের কাছে মরদেহ বুঝে দেয়।
জানা গেছে, নুরুজ্জামান সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে কয়েকজনের সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তের কাছে গেলে বিএসএফের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নুরুজ্জামান। পরে মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ঠাকুরগাঁও ৫০ (বিজিবি)। অনুষ্ঠিত হয় পতাকা বৈঠক। বৈঠকে বিএসএফ ওইদিন মরদেহ ফেরত দেয়ার কথা জানালেও ফেরত দেয়নি। ঘটনার ২ দিন পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ওই ইউনিয়নের বেউরঝাড়ি বিওপির সীমান্তের ৩৮০নং পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ।
বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই আব্দুস সোবহান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বেউরঝাড়ি বিওপির সীমান্তের জিরো পয়েন্টে উভয় দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহত নুরুজ্জামানের মরদেহ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে নুরুজ্জামানের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ বলেন, বিজিবি ও বিএসএফের সমন্বয়ে মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।