ভালুকায় সেনাবাহিনীর হাতে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
২৫ অক্টোবর ২০২৩, ৯:১০ অপরাহ্ণ
জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদের ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা শূন্য থেকে হয়নি বলে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মন্তব্যের জেরে একদিন পরই এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দেশটি।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) দেশটির সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ' আমাদের জাতিসংঘকে ধাক্কা দেওয়া দরকার।' তিনি জানিয়েছেন, জাতিসংঘের জরুরি মানবিক ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়ক মার্টিন গ্রিফিথ ইসরায়েলে আসতে চেয়েছিলেন। তাঁকে ভিসা দেওয়া হয়নি। এরডান বলেন, ' পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আমি তাঁদেরকে প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি জানিয়েছি।'
মার্টিন গ্রিফিথ এ অঞ্চলে আসতে পারবেন না উল্লেখ করে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে সব সময় নতুন লোক আনা দরকার। বিশেষ করে এখনকার মতো সময়ে তা বেশি দরকার। তাঁদের (জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা) ভিসা দেওয়া হবে না।
জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোন ধরতে চাননি নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোন ধরতে চাননি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান। তিনি বলেছেন, এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর আন্তোনিও গুতেরেস একবারও ইসরায়েলে আসেননি।
এরডান বলেন, গুতেরেস ৭ অক্টোবরের পর দুই দফায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নেতানিয়াহু তাঁর কল ধরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেন, সবাই জানে গাজা নিয়ন্ত্রণ করছে হামাস। তারপরেও গাজা কর্তৃপক্ষের দাবি সত্য বলে ধরে নিয়ে জাতিসংঘ মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মিথ্যা চিত্র তৈরি করেছে।
গিলাড এরডান বলেন, তাঁর দেশের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ইসরায়েল সম্পর্কে বৈরী মনোভাবে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বের করে দেওয়া। যাঁরা সেখানে কী ঘটছে সে বিষয়ে মিথ্যা চিত্র দিচ্ছেন।
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলে তোপের মুখে পড়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনের উদ্বোধনীতে বক্তব্য দেন আন্তোনিও গুতেরেস। সেখানে তিনি বলেন, হামাসের হামলা শূন্য থেকে হয়নি। ফিলিস্তিনের মানুষ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারির শিকার। তাঁরা তাঁদের ভূখণ্ড বসতিতে (অবৈধ ইহুদি বসতি) পরিণত হতে দেখেছেন। সহিংসতায় জর্জরিত হতে দেখেছেন।
গুতেরেস আরও বলেন, তবে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা হামাসের ভয়ংকর হামলাকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। আবার এই হামলার জেরে ফিলিস্তিনি জনগণকে সম্মিলিত শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি ন্যায্যতা পেতে পারে না।
গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন আন্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন।
এক দিনে এত মৃত্যু আগে দেখেননি গাজাবাসী। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। তারা দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করেছে।
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের অবরোধের মধ্যে থাকা গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে চরম ভাবে।