ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ২৪ জুলাই সোমবার বিকালে হত্যার উদ্দেশ্য সাজেদা (৩৫) কে কুপিয়ে জখম করেছে তসলিম গংরা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এসময় বাধা দিতে গেলে তার স্বামী রফিজল ইসলামকে পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করারও অভিযোগ উঠেছে।
পরে সন্ধ্যায় আহতদের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে ঘরে থাকা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। একই এলাকার জয়নালের ছেলে তছলিম ও মোসলেম, তছলিমের ছেলে রাব্বি, তছলিমের স্ত্রী নুরতাজ, মোসলেমের স্ত্রী ফাহিমা বেগমের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ করেন আহতরা।
এ ঘটনাগুলোয় বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আহত রফিজল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে আমার ছেলে তনিক ও হামলাকারী রায়হানের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বাড়িতে এসে হামলা চালায় উল্লেখিত হামলাকারীরা ।
তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী সাজেদা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। আমি ছাড়াতে গেলে আমাকে পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে আহতদের মধ্যে সাজেদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে তাকে ভোলা সদর হাসপাতাল রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত রফিজল বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় হামলাকারী রাব্বি নামক একজনকে আটক করেছে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। হামলার মূল আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুতুবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহসান জোবায়েদ বলেন, এ ঘটনা শুনে আমি ভুক্তভোগীর সাথে স্বার্বক্ষনিক যোগাযোগ করেছি।