জাজিরা থানার ওসি আল আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু: মরদেহ ঝুলছিল শয়নকক্ষের জানালার সঙ্গে
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
২২ অক্টোবর ২০২৩, ৭:৫১ অপরাহ্ণ
সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ। সামুদ্রিক মাছে কি কি পুষ্টিগুণ আছে। সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি থাকে যা অনেক জটিল রোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে থাকে। সামুদ্রিক মাছের আরেকটি স্বাস্থ্যকর দিক হল এটি খুবি কম-ক্যালোরি যুক্ত খাবার। সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ, প্রজাতি ভেদে সামুদ্রিক মাছের স্বাদ ভিন্ন হয় কিন্তু পুষ্টিগুণে সব সামুদ্রিক মাছই অনন্য। সামুদ্রিক মাছের গুনাগুণের শেষ নেই। ইলিশ, কোরাল, রূপচাঁদা, বাইলা, চিংড়ি, ফোঁপা, লইট্টা ও লাইখ্যা সহ প্রভৃতি মাছে আছে প্রচুর মিনারেল ও ভিটামিন।
সামুদ্রিক মাছের উপকারিতা। সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণায় দেখা গেছে,সামুদ্রিক মাছ হার্ট-এটাক, স্ট্রোক এবং উচ্চ-রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক গঠনে বেশ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছ সব বয়সের মানুষই খেতে পারেন। কেননা সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক। তাই ' আজকের প্রসঙ্গের ' এই পর্বে থাকছে,সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা নিয়ে নানা নির্ভরযোগ্য তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা।
সামুদ্রিক মাছের উপকারিতা। সামুদ্রিক মাছ হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি এসিড যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এই ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
সামুদ্রিক মাছের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। সামুদ্রিক মাছ শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, বেশিরভাগ সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ ও ডি থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সামুদ্রিক মাছ উপকারী।
সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ। সামুদ্রিক মাছ মস্তিকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, নিউরোলজিস্টদের মতে শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকলে ব্রেনের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
যারা নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খায় তাঁদের দৃষ্টিশক্তি অন্যদের চেয়ে বেশি ভাল থাকে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিট থাকে। আর এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রেটিনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সামুদ্রিক মাছ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে নানা রোগ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। কারন সামুদ্রিক মাছে জিংক ও আয়োডিন আছে। জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আয়োডিন গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ করে। রেগুলার সামুদ্রিক মাছ খেলে রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের উপসর্গ কমে আসে।
সামুদ্রিক মাছের উপকারিতা বহুবিধ এই মাছের আমিষ সহজে পরিপাকযোগ্য। এ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন বি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছের আমিষ ও তেল মানব দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
সুখবর মিলেছে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্যও। ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখতে পারেন। এতে তাদের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুবিধা হবে।
পরিশেষে এটুকুই বলতে চাই, নিয়মিত খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখুন। কারণ সামুদ্রিক মাছে থাকে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিংক এবং পটাশিয়ামসহ অনেক অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের মানবদেহের জন্য অনেক অনেক উপকারে আসে। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের জন্যে আয়োডিন অত্যাবশ্যকীয়, এবং সেলেনিয়াম একধরণের হজমশক্তি তৈরি করে যা আমাদেরকে ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায়।