খুকৃবিতে "জুলাই শহীদ স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট" উদ্বোধন
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
২০ অক্টোবর ২০২৩, ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
নয়াপল্টনের সমাবেশে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে দলের এক কর্মীকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের থাপ্পড় মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় সিদ্ধিরগঞ্জের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সালাউদ্দিনকে থাপ্পড় দেন তিনি।
এই ঘটনার ভিডিও গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের তৃণমূল নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গিয়াসউদ্দিন নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপি–দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, নীল রঙের শার্ট পরা জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন দৌড়ে গিয়ে মিছিলের সামনের সারিতে সাদা শার্ট পরা একজনকে থাপ্পড় দেন। এ সময় ধাক্কা দিয়ে সামনে থেকে ওই ব্যক্তিকে সরিয়েও দেন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আরও একজন বয়স্ক লোককে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। নেতা–কর্মীদের সঙ্গে চিৎকার–চেঁচামেচি করেন এবং একপর্যায়ে নেতা–কর্মীদের দুই হাতের বুড়ো আঙুল উঁচিয়ে দেখাতে দেখা যায় তাঁকে। সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের এমন ব্যবহারে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বেলা তিনটার দিকে নয়াপল্টনে যাওয়ার সময় ফকিরাপুল পুলিশ বক্সের সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। সেখানে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দলের নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। নেতা–কর্মীরা সামনে চলে এলে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন গিয়াসউদ্দিন। নেতা–কর্মীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন; ধমক ও ধাক্কা দেন। তাঁর সঙ্গে এসে সালাউদ্দিনও নেতা–কর্মীদের ধাক্কা দেওয়া শুরু করেন। তখন গিয়াসউদ্দিন সালাউদ্দিনকে থাপ্পড় দেন এবং তাঁকে সরিয়ে দেন। এ সময় মিছিলের সামনে বয়স্ক এক ব্যক্তিকেও ধাক্কা দেন তিনি।
থাপ্পড় মারার অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, মিছিল বের করার সময় অতি উৎসাহী কিছু কর্মী সিনিয়র নেতাদের পেছনে ফেলে দিয়ে সামনে এসে মুঠোফোনে সেলফি তুলছিল এবং বেয়াদবি করছিল। এতে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে সমস্যা হচ্ছিল। তাদেরকে ধমক দিয়ে বারণ করার চেষ্টা করি, কিন্তু তারা শোনেনি। তখন আমি আমার লোককে থাপ্পড় দিয়েছি। কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতির এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন নেতা। দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে জেলা সভাপতির এমন ঘটনায় তাঁরা বিব্রত। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিবারই কর্মসূচিতে নেতা–কর্মীদের সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন। তাঁর কারণে দলের কর্মসূচিতে অনেক নেতা–কর্মী আসতে চান না। পৃথকভাবে তাঁরা দলের কর্মসূচি পালন করছেন।