রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সেলফি পরিবহন আটক করলো জাবি ছাত্রলীগ


১৪ অক্টোবর ২০২৩, ৫:২৯ অপরাহ্ণ 

সেলফি পরিবহন আটক করলো জাবি ছাত্রলীগ
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সেলফি পরিবহনের ২০টি বাস আটক করে পরে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণে ছেড়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন তারা।

পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনসহ আরো কয়েক নেতা। এরপর ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দুপুর দুইটার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক ছাত্রলীগকর্মীকে বাসে উঠতে না দিয়ে ধাক্কা দিয়েছে বাসের চালকের সহকারী। ওই ছাত্রলীগকর্মীর নাম আব্দুল্লাহ আল সাদ। তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল সাদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাতে গাবতলী থেকে সেলফি পরিবহনের বাসে উঠতে গিয়েছিলাম। তখন জাহাঙ্গীরনগর যাবো বললে আমাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়। তখন আমি আঘাত পাই এবং আমার ল্যাপটপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বাস আটক করছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। সেলফি পরিবহনের বাসগুলো যাত্রাপথে থামিয়ে বাস থেকে চাবি নিয়ে নিচ্ছেন তারা। ছাত্রলীগের এই কর্মীরা সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেলফি পরিবহনের মালিকদের একজন বলেন, শিক্ষার্থীরা অন্তত ২০টি বাস আটকে রেখেছিল।

পরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন ভাই আমাদের মালিকপক্ষের দুজনের সঙ্গে আলোচনায় বসে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে সমাধান করেছেন। ছোটখাটো ঝামেলার জন্য এতগুলো বাস আটকে রাখলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, বাস আটকানোর ঘটনা শুনেছি। সমস্যার সমাধান হয়েছে। টাকা-পয়সার ব্যাপারে আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বাস আটকানোর বিষয়টি শুনে নিরাপত্তা শাখার এক কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছে। তবে বাস মালিক বা শিক্ষার্থীদের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।