রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫

সড়কে ৩৭৫ সিসি মোটর বাইক চলাচলের অনুমতি মিলেছে


১২ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২২ পূর্বাহ্ণ 

সড়কে ৩৭৫ সিসি মোটর বাইক চলাচলের অনুমতি মিলেছে
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

বাংলাদেশের বাইকপ্রেমীদের জন্য মিলেছে দারুন সুখবর। দেশে ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বিআরটিএ সংস্থাপন শাখা। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে (১১ অক্টোবর) বুধবার উপ সচিব মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ অনুমতি দেওয়া হয়।

এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অনুমতি দিয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশের ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের পরিবেশক ও উৎপাদন অংশীদার এসিআই মোটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এইচ আনসারি। তিনি আরোও বলেন, দেশে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। তবে এ ধরনের মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায় আমদানি করা যাবে না। শুধু বিদেশ থেকে বিযুক্ত অবস্থায় (সিকেডি) আমদানি করে দেশের কারখানায় সংযোজন করে বাজারজাত করা যাবে।

বাংলাদেশ আমদানী নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ এবং ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তক্রমে দেশীয় শিল্প খাতের বিকাশ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিদ্যমান ১৬৫ (একশত পঁয়ষট্টি) সিসির পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ৩৭৫ (তিনশত পঁচাত্তর) সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া যাবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩৫০ সিসির এই ধরনের বাইক বাজারে আসতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই মানের বাইক বাজারে আসবে এমনটি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের বাইক চালানোর অনুমতি দেওয়ার দাবি করা হচ্ছিল বাংলাদেশে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা এখানে ৩৫০ সিসি মোটরসাইকেল উৎপাদন এবং বিক্রি করার অনুমতি দেব। এখন থেকে এইসব উচ্চ ইঞ্জিনক্ষমতাযুক্ত মোটরসাইকেল বৈধভাবে রাস্তায় চলাচল করতে পারবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে ১৬৫ সিসির বেশি ইঞ্জিনযুক্ত মোটরসাইকেল স্থানীয় বাজারের জন্য তৈরি বা আমদানি করা যায় না। তবে মোটরসাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী নির্মাতারা ৫০০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিনযুক্ত মোটরসাইকেল রফতানি করতে পারেন। কিন্তু এই বাইক চালানোর অনুমতি ছিল না বাংলাদেশে।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ট্রেড ও ট্যারিফ কমিশন সিসির এই সীমাকে ৩৫০এ উন্নীত করার সুপারিশ করে।

এদিকে মোটরসাইকেল আমদানি ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।