মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে থাকছে ১১ হাজার নিরাপত্তারক্ষী


১১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:২৭ অপরাহ্ণ 

ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে থাকছে ১১ হাজার নিরাপত্তারক্ষী
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। ক্রিকেটের অন্যতম বড় ম্যাচ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। গুজরাটের উৎসবের কারণে নজিরবিহীনভাবে এই ম্যাচের তারিখ একদিন এগিয়ে আনা হয়। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত তৎপর সংশ্লিষ্টরা।

মাঠের খেলা নিয়ে নানা আলোচনা তো আছেই, বাইরের পরিবেশও উত্তপ্ত শুরু করেছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক আগে ‘হিন্দুবিরোধী ও ভারতবিদ্বেষী’ মন্তব্যের অভিযোগের রেশ ধরে রোষের মুখ ভারত ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তানি এক নারী সঞ্চালককে। এমনকি পাকিস্তানি সমর্থক ও সাংবাদিকেরাও এখনো ভারতে যাওয়ার ভিসা পাননি। এমনকি আহমেদাবাদ স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও পেয়েছে মুম্বাই পুলিশ। সব মিলিয়ে ম্যাচের আগে সামনের কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এমন অবস্থায় যেকোনো ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতের প্রশাসন।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হবে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড এবং থাকবেন হোমগার্ডরাও। শুধু স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকবেন ১১ হাজার পুলিশ কর্মী। মুম্বাই পুলিশ একটি ই-মেইলে হুমকি পাওয়ার পর ঢেলে সাজানো হচ্ছে আহমেদাবাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ সব থেকে বেশি। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটি আসনও ফাঁকা থাকবে না। তাই আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা ছিল। তবে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম করে মুম্বাই পুলিশ হুমকি মেল পাওয়ার পর কার্যত দুর্গে পরিণত করা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামকে।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, গান্ধীনগর রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্শ সানঘাভি, ডিজিপি বিকাস সাহাই, পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তাব্যবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সবকিছু ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেছেন, সাত হাজার পুলিশের সঙ্গে আমরা আরো চার হাজার নিরাপত্তারক্ষীকে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা রক্ষা ও সাম্প্রদায়িকভাবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োগ দেব। এই নিরাপত্তাকর্মীদের বাইরে এনএসজির তিনটি হিট টিম এবং একটি অ্যান্টি ড্রোন টিম নিয়োগ দেব। এ ছাড়া বোমা শনাক্তকরণ ও নিষ্ক্রিয়করণের জন্য আরো ৯টি দলকে আমরা কাজে লাগাব।

আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ১৪ অক্টোবর তৈরি রাখা হবে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সকেও। খেলা চলাকালীন যে কোনও রকম রাসায়নিক, জৈবিক, রেডিয়োলজিক্যাল এবং নিউক্লিয়ার জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আমরা। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার নিরাপত্তা কর্মী ১৪ অক্টোবরের ম্যাচের জন্য নিয়োজিত করা হতে পারে।