কার্ডিওভাসকুলার রোগগুলি হল যেগুলি হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলিকে প্রভাবিত করে এবং এমন বৈশিষ্ট্য এবং জীবনযাত্রার অভ্যাসগুলি সনাক্ত করা যা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ তারা ঝুঁকির কারণ হিসাবে কাজ করে। যদিও এই ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে কিছু পরিবর্তনযোগ্য, অন্যগুলি আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই।

এইচটি লাইফস্টাইলের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, মুম্বাইয়ের স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রের কনসালটেন্ট কার্ডিয়াক সার্জন ডাঃ বিপেনচন্দ্র ভামরে শেয়ার করেছেন, “হার্ট অ্যাটাকের সাথে সম্পর্কিত কিছু ঐতিহ্যগত ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা, ডায়াবেটিস, এবং অতিরিক্ত ওজন বা মোটা হওয়া। উপরন্তু, হার্ট অ্যাটাকের সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক কার্ডিওভাসকুলার রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা, বিপাকীয় সিন্ড্রোম, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক অবস্থা যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা সোরিয়াসিস সেইসাথে এইচআইভি/এইডস সংক্রমণ। গর্ভাবস্থায় প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার ইতিহাস বা প্রাথমিক মেনোপজের অভিজ্ঞতাও হার্ট অ্যাটাকের জন্য অতিরিক্ত ঝুঁকি হিসাবে বিবেচিত হয়।"

তিনি যোগ করেছেন, “আরেকটি প্রায়শই উপেক্ষা করা হয় বায়ু দূষণ। সূক্ষ্ম কণার মতো দূষণকারীর দীর্ঘমেয়াদী এক্সপোজার কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি সহ অসংখ্য প্রতিকূল স্বাস্থ্য প্রভাবের সাথে যুক্ত হয়েছে। কণা পদার্থ শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করতে পারে এবং রক্তনালীগুলির মধ্যে প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ফলক গঠন এবং ধমনী শক্ত হয়ে যায়। ঘুমের ধরণগুলিকে সম্বোধন করা মনোযোগ আকর্ষণ করেছে কারণ গবেষণায় বলা হয়েছে যে নিম্নমানের বা অপর্যাপ্ত ঘুম পরিবর্তিত বিপাক এবং বর্ধিত প্রদাহ সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্ডিওভাসকুলার অসুস্থতার বিকাশে অবদান রাখতে পারে।"

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রকাশ করেছেন, "তামাক সেবন কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি কারণ এটি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। সিগারেট এবং ই-সিগারেটে নিকোটিনের উপস্থিতি দ্রুত হার্টবিট এবং উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বাড়ায়। তদ্ব্যতীত, ধূমপান রক্তের জমাট বাঁধার সম্ভাবনা বাড়ায় এবং ধমনী প্লেকের বিকাশকেও উৎসাহিত করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এমনকি যারা নিজেরা ধূমপান করেন না তাদেরও সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের কারণে হৃদরোগের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।”

ডাঃ বিপেনচন্দ্র ভামরে উপসংহারে আরও বলেন, “যদিও বয়স এবং পারিবারিক ইতিহাসের মতো কিছু ঝুঁকির কারণ পরিবর্তন করা যায় না, জীবনধারা পছন্দগুলি একজন ব্যক্তির কার্ডিওভাসকুলার অসুস্থতার সংবেদনশীলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস লেভেল পরিচালনা করা, পর্যাপ্ত ঘুমের পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং বাতাসের মানের দিকে মনোযোগ দেওয়া হল একটি সুস্থ হার্ট বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।"