খুকৃবিতে "জুলাই শহীদ স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট" উদ্বোধন
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:৫৫ অপরাহ্ণ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন- তিনি আবারও ক্ষমতায় থাকতে চান। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আমেরিকার গণতন্ত্র নষ্ট হবে। আমেরিকার গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য তিনি আবারও ক্ষমতা থাকতে চান। জো বাইডেনের মতো আমিও একইভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। এই স্পিরিটটা আমাদের রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির প্রথম সভায় এসব কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সেসময় বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, অ্যাকশনমুখে কর্মকাণ্ড করতে হবে। এখানে জুঁই ফুলের গান গেয়ে লাভ নেই। আমার সামনে এই ২৩ নম্বরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়েছে, তার সামনে দাঁড়িয়ে আমি জুঁই ফুলের গান গাইব? আমাকেও অ্যাকশনে যেতে হবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর, ওই রকম ইশতেহার তৈরি করুন।
২০৪০ সাল মাথায় রাখতে হবে এমন বার্তা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে, এখন মাথায় স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্টনেস কীভাবে আসবে? কীভাবে এর বিকাশ ঘটবে? এই বিষয়গুলো আমাদের চিন্তা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা অতি কঠিন সময় অতিক্রম করতে পারব। কারণ আমাদের দলের অধিনায়ক সাহসী। তার অসীম সাহসের জন্য আমরা দুর্লভ সাগর পাড়ি দিতে পারব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব তো বলেই দিয়েছেন- আর মাত্র কয়টা দিন, আপনারা কোথায় যাবেন? মির্জা আব্বাস বলেন, তারা নাকি চাঁদরাত দেখতে পান। তারা নাকি আমাদের তাড়িয়ে দেবেন। আর কয়েকটা দিন পরেই নাকি আমাদের চলে যেতে হবে। আমি টঙ্গীতে বলেছি, আমরা এই অক্টোবরে আছি, আগামী অক্টোবরও থাকব।
নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় আমাদের দেশেও এবার সেভাবেই হবে। কে এলো, কে এলো না, এটা আমাদের বিষয় না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। আমরা কারও ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি না। কে আসবে, কে আসবে না সেটা তাদের বিষয়। কে কাকে নিষেধাজ্ঞা দিল সেটা আমাদের কোনো বিষয় না। কারণ, আমরা তো ইলেকশন করব। নির্বাচনে যারা বাধা দেবে, তারাই তো নিষেধাজ্ঞায় পড়বে। যারা বাধা দেবে তাদের গিয়ে ধরুন, তাদের হুমকি দেন। একেক দিন একেক হুমকি আসে, কী আজব ব্যাপার!
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা ছোট না বড় হবে, সবই এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। তিনি চাইলে সেটাকে ছোটও করতে পারেন, আবার বড়ও করতে পারেন। পৃথিবীর অন্যান্য সব গণতান্ত্রিক দেশের মতো নির্বাচনকালীন সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে, মেজর কোনো পলিসি ডিসিশনে অংশ নেবে না। এটা হলো নিয়ম। এ নিয়ম মেনে আমরাও চলব।
সভা শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে দোয়া মাহফিল ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কেএম আব্দুল মমিন সিরাজী।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির প্রথম সভায় অংশ নেন দলটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ, সদস্য ড. বজলুল হক খন্দকার, অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, শেখর দত্ত, ড. মাকসুদ কামাল, ড. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, সাজ্জাদুল হাসান, তারানা হালিম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জুনাইদ আহমেদ পলক, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।