বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ম্যাচ এবং সিরিজ টাই করলো বাঘিনীরা


বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২২৫/৪ (শামীমা ৫২, ফারজানা ১০৭, নিগার ২৪, রিতু ২, সোবহানা ২৩*; স্নেহ ২/৪৫, দেবীকা ১/৪২)। ভারত: ৪৯.৩ ওভারে ২২৫ (হারলিন ৭৭, স্মৃতি ৫৯, জেমিমা ৩৩*, হারমানপ্রীত ১৪, দীপ্তি ১০; নাহিদা ৩/৩৭, মারুফা ২/৫৫, রাবেয়া ১/৩০, ফাহিমা ১/৪৮, সুলতানা ১/৪৯)। ফল: টাই। সিরিজ: ৩–ম্যাচ সিরিজ ১–১ ড্র। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: হারলিন দেওল। প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ: ফারজানা হক।

৩১ জুলাই ২০২৩, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ 

ম্যাচ এবং সিরিজ টাই করলো বাঘিনীরা
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

একবার মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ জিতবে, একবার ভারত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জিতলো না কেউই। মিরপুর শেরে বাংলায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ নারী ওয়ানডেটি শেষ হয়েছে রুদ্ধশ্বাস এক টাইয়ের মাধ্যমে।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের মেয়েরা করেছিল ৪ উইকেটে ২২৫। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অসাধারণ ব্যাটিং করেন ফারজানা হক। ফারজানা হক রেকর্ডসহ সেঞ্চুরি করেন এই ইনিংসে। ১৫৬ বল খেলে তিনি পৌঁছান তিন অংকের ঘরে। শেষ পর্যন্ত ১৬০ বলে ১০৭ রান করে রানআউট হয়ে যান তিনি।

 ভারত ইনিংসের শেষ ওভারে তিন বল বাকি থাকতে অলআউট হয়েছে ২২৫ রানেই।টাইয়ের ফলে সিরিজও শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সমতা ফেরায় ভারত। শেষ ওয়ানডে টাই হওয়ায় দুই দল সিরিজের ট্রফি ভাগাভাগি করবে।

ভারতের সামনে ২২৬ রানের লক্ষ্য ছিল। একটা সময় তারা অবশ্য সহজভাবেই জয়ের পথ তৈরী করে। ৪ উইকেটকালে ১৯১ রান ছিল সফরকারীদের।

সেইখান থেকেই দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশের মেয়েরা। শেষ ৩৪ রানে ৬ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। ৪৮তম ওভারে স্পিনার নাহিদা আক্তার তিন বলে দুই উইকেট নেয়। তখনই মূলত খেলায় ফিরেছিল বাংলাদেশ।

ভারতের স্মৃতি মান্ধানা ৫৯, হারলিন দেওল ৭৭ রান করে। জেমিমাহ রদ্রিগেজ অপরাজিত ছিল। কিন্তু সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখা ছাড়া তার আর কিছু করার ছিল না। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে।

বাংলাদেশ দলের নাহিদা আক্তার ৩৭ রান খরচে নেন ৩টি উইকেট। মারুফা আক্তার ৫৫ রানে শিকার করেন ২টি উইকেট। শেষ ওভার ছিল মারুফারই। সেই ওভারে ভারতের দরকার ছিল মাত্র ৩ রান। প্রথম দুই বলে সিঙ্গেল দিলেও তৃতীয় বলে মেঘনা সিংকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে নেন মারুফা। ম্যাচটি সেই বলেই হয়ে যায় টাই।