রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪

কদবেলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ


১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:০৬ অপরাহ্ণ 

কদবেলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

কদবেল অতি পরিচিত ও সকলের প্রিয় একটি ফল। দেশীয় ফল কদবেল খেতে কিছুটা টক স্বাদের। যে কারনে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই ফল। তবে সব বয়সের মানুষেরই এটি পছন্দের একটি ফল। যে কেউ চাইলেই এই ফল দিয়ে সুস্বাদু ভর্তা কিংবা চাটনি বানিয়ে খেতে পারেন। ছয় ঋতুর বাংলাদেশে নানান রকমের ফল পাওয়া যায়। বছর জুড়েই কোন না কোন ফল আমরা খেয়ে থাকি, তবে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমের শেষ ভাগে মৌসুমী ফলের একটু টানা পোড়ান দেখা যায়,আর তখনি পথেঘাটে কদবেলের পসরা হরহামেশাই চোখে পড়ে। বর্ষা এবং শরত দুই ঋতুতেই কদবেল সমান তালে চলে। টক মিষ্টি স্বাদের এই ফলের উপকারিতা ও পুষ্টি গুণ সত্যিই অনন্য। তাই দিন দিন বাজারে এ ফলের চাহিদাও বাড়ছে খুব। কিন্তু কেন? এই ফলের চাহিদা এতো বেশি। তাহলে চলুন জেনে নেই, কদবেলের উপকারিতা ও পুষ্টি গুণ সম্পর্কে- কদবেল মুখের রুচি বৃদ্ধিতে দারুণভাবে সাহায্য করে। পেটের নানান রকম পীড়া দূর করতেও সমানভাবে কার্যকর কদবেল। 

কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। তাই কদবেল খেলে গরম কম লাগে। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কদবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে বেশ দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। কদবেলে প্রচুর পরিমাণে আমিষ রয়েছে। একটি আমের চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ, কাঁঠালের দ্বিগুণ, লিচুর চেয়ে ৩ গুণ, আমলকী ও আনারসের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি। 

কদবেল মহিলাদের হরমোনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে। গুড় বা মিছরির সঙ্গে কদবেল মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়।কদবেলের ট্যানিন নামক উপাদান দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করতে সাহায্য করে। কদবেল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ভিটামিন সি’য়ের পরিমাণ বেশি থাকায় স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে ভালো কাজ করে। 


কেন আপনি বেশি বেশি কদবেল খাবেন ? কারণ প্রতি ১০০ গ্রাম কদবেলে আছে-

পানীয় অংশ ৮৫ দশমিক ৬ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২ দশমিক ২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৯ কিলো ক্যালরি,ভিটামিন-বি শূন্য  দশমিক ৮০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৩ মিলিগ্রাম এবং  প্রতি ১০০ গ্রামের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ৪৯ কিলো ক্যালরি। আমিষ ৩ দশমিক ৫ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ১ গ্রাম, শর্করা ৮ দশমিক ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫ দশমিক ৯ মিলিগ্রাম, লৌহ শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম। 

এত সময় শুধু কদবেলের অনেক গুনাগুণ জানলেন, এই পর্যায়ে কদবেলের আরও কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে জানাবো-কদবেলে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আর তাই পাইলস এবং আলসারের চিকিৎসায় এটি সহায়ক। কদবেল একটি মূত্রবর্ধক। কিডনি মানব দেহের একটি গুরুত্ব পূর্ণ অর্গান এটি ভাল রাখতেও কদবেল হতে পারে একটি উপকারি ফল। তাই নিজ আংগিনা এবং ছাদ কৃষিতে কদবেলের কলম চারা লাগান।