খুকৃবিতে ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষা সফর
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
যে কারোর জন্যই রেলওয়ে সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ রেলযুগে প্রবেশ করে ১৯৬২ সালের ১৫ ই নভেম্বর। শুরুতেই রেলের যাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত। দেশের প্রথম রেল স্টেশনের নাম জগতি। এটি কুষ্টিয়া শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তবে সময়ের ব্যবধানে জমজমাট 'জগতি' স্টেশন আজ অনেকটাই নীরব। নিরাপদ ও কম খরচে যাতায়াতের জন্য রেলওয়ে সাশ্রয়ী পরিবহন বলে করেন দেশের আপামর জনসাধারণ। অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে রেলপথ এখন মানুষের দুরগুরায় পৌঁছেছে এবং বেড়েছে সেবার মান। মানুষ আজ ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট বুকিং করে কোন রকম বিরম্বনা ছাড়াই। কিন্তু ঘরে বসে সেবাটি নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।
প্রযুক্তির এই সুসময়ে অনেকের হাতেই এখন স্মার্ট ফোন দেখা যায়,কিন্তু তাঁদের কেউ কেউ জানেন না অনলাইনে কিভাবে টিকেট সংগ্রহ বা বুকিং করতে হয়। তাহলে চলুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকেট বুকিং করার নিয়ম গুলো জেনে নিই। মনে রাখবেন রেলের টিকিট কাটতে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কারোর জন্যই নিবন্ধন লাগবে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কিনতে চাইলে যাত্রীরা অনলাইন অথবা মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে যে কোনো সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেমে খুব সহজে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেএে প্রত্যেক যাত্রীকে জাতীয়-পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মনিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে টিকিট কেনার সময় যে যাত্রী ভ্রমণ করবেন তার এনআইডি লাগবে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে (eticket.railway.gov.bd) 'রেজিস্টার' অপশনে গিয়ে মোবাইল নম্বর, এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যদি আগে থেকেই নিবন্ধিত থাকে তাহলে 'লগ ইন' করুন।
আপনি যদি কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে চান তবে আগাম নিবন্ধন থাকতে হবে। তবে ওই নিবন্ধনের জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে না। মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। তারপর এনআইডি দেখিয়ে স্টেশন থেকে টিকিট নিতে পারবেন।
আপনি কোন স্থান থেকে ট্রেনে উঠবেন, গন্তব্য, ভ্রমণের তারিখ, কোন শ্রেণিতে ভ্রমণ করবেন সেসব অপশন সিলেক্ট করুন। তারপরই পছন্দের সিট বেছে নেওয়ার অপশন পাবেন।
আবার কাউন্টারে টিকিট করার ক্ষেত্রে মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে BRN<space> ID নম্বর <space> জন্ম তারিখ (সাল/মাস/দিন) এসএমএস পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে। ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে নিবন্ধন সফল, নাকি ব্যর্থ তা আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর কাউন্টারে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট দেখালেই টিকিট পেয়ে যাবেন।
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই বা যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে, তারা বাবা বা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করা অ্যাকাউন্ট অথবা নিজেদের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে কিংবা জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করে নিবন্ধনকৃত অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিট কিনতে পারবেন।
বিদেশি নাগরিকরা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাই করে নিবন্ধন ছাড়া কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না। আরও মনে রাখতে হবে ভ্রমণকালে সকল যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।
পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকেটে ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে ও বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যদি টিকিট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হয় কিংবা ই-টিকিট ইস্যু না হয়, তাহলে বিকাশের ১৬২৪৭ নাম্বারে কল করে আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন।
রেলপথ ভ্রমণে সকলে উৎসাহি হউন।