
ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল এর স্বাক্ষর জাল করে ২২ সদস্য বিশিস্ট ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও শতশত মানুষের মধ্যে বিলি এবং যুবলীগের এক নেতাকে মারধর করে হত্যা চেস্টার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ ১২ যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতার নামে ঝালকাঠি থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে জেলা যুবলীগ সদস্য মাসুদ সিকদার বাদী হয়ে দণ্ড বিধির ১৪৩, ৩২৩, ৩০৭, ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭১, ৫০৫, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন ০১নং আসামী সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন নিজেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঝালকাঠি জেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক দাবী করে একটি তথাকথিত আহবায়ক কমিটি সৃস্টি করিয়া তাহাতে আওয়ামী যুব লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল এর স্বাক্ষর জাল করিয়া ব্যবহার করিয়া এবং তাঁদের সিল মোহর ও প্যাড তৈরি ও ব্যবহার করে একটি ২২ সদস্য বিশিস্ট আহবায়ক কমিটি তৈরি করে ভুয়া ও মিথ্যা জানিয়াও সকল আসামীরা তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও শতশত মানুষের মধ্যে বিলি করে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে সাক্ষীদের নিয়া ঘটনাস্থল ডাক্তার পট্রি মিলনের বাসার সামনে গেলে ১,২,৩,৪,৫ ও ৬নং আসামীর সাথে দেখা হইলে ভুয়া ও মিথ্যা কমিটি প্রচারের বিষয়টি জানতে চাইলে, ০১নং আসামী মিলন উত্তেজিত হইয়া আমাকে কিল ঘুষি মারিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চাপিয়া ধরে এবং বলে আমি যাহা খুশি তাই কমিটি করিব তাহাতে তোদের কি ? আমার কাজে বাধা দিলে তোদের জীবনের তরে শেষ করিয়া ফেলিব। আসামী মিলনের নেতৃত্বে সকল আসামীরা দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা নিয়া আমাদের ভয়ভীতি দেখাইয়া তাড়াইয়া দেয়। আমি বিষয়টি জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির ও যুগ্নআহবায়ক কামাল শরীফকে জানাইলে তাহারা কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে যোগাযোগ করিয়া জানতে পারে যে, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে নতুন কোন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
কেন্দ্রীয় কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা স্বাক্ষরিত একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করিয়া জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আসামীরা কমিটি সৃস্টি করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে। আসামীরা পরস্পর যোগাযোগের ভিত্তিতে জাল-জালিয়াতি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করিয়া ভুয়া কমিটি তৈরি ও প্রচার করিয়া এবং আমাকে সহ সাক্ষীদের ভয়ভীতি ও মারধর করিয়া বাংলাদেশ দণ্ড বিধির ১৪৩/৩০৭/৩২৩/৪২০/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/৫০৫/৫০৬(২) ধারার অপরাধ করিয়াছে। তাহাতে সকল আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। অন্যথায় আসামীরা যে কোন সময় মিথ্যা ঘটনা প্রচার করিয়া শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাইতে পারে।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা হলেন, সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন (৩৮) মিলন হাওলাদার (৩৬) তরিকুল ইসলাম অপু (৩৩)মোঃ মনিরুজ্জামান মনির (৩৮) শাখাওয়াত হোসেন সুমন (৩৬) মোঃ মারিয়াজ হাওলাদার (৩৫) তালাল আল আরাফাত (২৩)আসাদুজ্জামান তালুকদার পিকলু (৪০) আলীম আল রাজিব (৪০) মাহমুদুল সাগর (২৫) মোহাম্মদ রনি হাওলাদার (৩৫) ও সাংবাদিক বশির আহম্মেদ খলিফা।
ঝালকাঠি থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, সৈয়দ মিলনসহ ১২ জনের নামে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। উল্লেখ্য ভুয়া কমিটি গঠন বিষয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।