রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪

কলাপাড়ায় যুবলীগ নেতার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ


৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৩:৪০ অপরাহ্ণ 

কলাপাড়ায় যুবলীগ নেতার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

পটুয়াখালী ৪ আসন কলাপাড়া উপজেলার ১২ নং চম্পাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বর্তমান আওয়ামী যুবলীগ নেতা, অপূর্ব মাহমুদ রুবেল চৌধুরী  ৩০/৮/২০২৩ তারিখ বিকাল বেলা দল থেকে পদত্যাগ করেন।  ১৫ আগষ্ট উপলক্ষে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সেচ্ছায় শ্রম দিয়ে সকল কার্যক্রম সম্পান্ন করেন  এবং ওই সময় দল থেকে অব্যাহতি নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্রনেতা,বর্তমান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামীম আল সাইফুল সোহাগ, এবং মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ- সভাপতি মোঃ মোরসালিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব তালুকদার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি সাবেক অধ্যাক্ষ সৈয়দ নাসির, আওয়ামীলীগের যুগ্ম - সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলম এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদিকা ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভিন সীমা এবং উপজেলার কৃষক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও পৌর সভাপতি ঢালী দোলন সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

রুবেল চৌধুরী কাছে পদত্যাগের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি আওয়ামীলীগ পরিবারে সন্তান এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমার বাবা, দাদা,দাদী ৭১ সালে  মুক্তিযোদ্ধাদের খাবারের জন্য আটা সংগ্রহ করে রুটি তৈরী করে অস্থায়ী ক্যাম্পে  জীবনের ঝুকি নিয়ে পৌছে দিতেন। আমি মুক্তি যুদ্ধের কাহিনি শুনে,জাতির পিতার ৭ মার্চ এর জ্বালাময়ী ভাষন শুনে বড় হয়েছি। ৯ ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কলাপাড়ায় বৃহত্তর ধানখালীতে  দলের প্রচারণায় মাইক, বেটারী,মেশিন মাথায় বহন করে রাত, দিন, উপেক্ষা করে প্রচারনা করেছি এবং সর্ব কনিষ্ঠ কর্মি খেতাব পেয়েছি। বি এন পি জামাতের চোখে চোখ রেখে তাদের বিপক্ষে কাউন্টার শ্লোগান দিয়েছে। যেই দলের জন্য এতো শ্রম দিলাম, সেই দল আমাকে কোন সাপট দিলো না, উল্টা আমার বিপক্ষে বি এন পি জামাতকে সমার্থন করে। তাই আজ আমি এক বুক কষ্ট নিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছি। 

রুবেল চৌধুরীর  পদত্যাগ সম্পর্কে এলাকায় জন সাধারণের কাছে জানতে চাইলে এলাকাবাসি বলেন। রুবেল চৌধুরী একজন ভাল ও সাহসী  ছেলে, সে দীর্ঘদিন দলের স্বার্থে কাজ করেছেন। এলাকায় সে কোন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল না। তার ইমেজ ক্লিন। সে আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য অনেক লড়াই করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। সে দুর্নীতির বিপক্ষে সর্বদা সোচ্চার ছিল এবং আছে। সে দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে বারবার জেল জুলুমের শিকার হয়েছে।

আওয়ামীলীগের সবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মোশাররফ মৃধা বলেন। আমি রুবেলের সাথে কথা বলেছি কিন্তু ওকে কোন ভরসা দিতে পারিনি কারন দলের অন্তঃকোন্দল চরম পর্যায়ে, কর্মিদের মূল্যায়ন নাই। তাদের খবর কেউ রাখেনা। নির্বাচন আসলেই ত্যাগীদের মূল্যায়ন হয় এ ছাড়া নয়।

বর্তমান দায়িত্বরত ছাত্রলীগের সভাপতি সম্রাট হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মুনিম তালুকদার তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন রুবেল চৌধুরী দুর্দিনের সহযাত্রী তার এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছি না।এছাড়া অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মিরা রুবেল চৌধুরী র পক্ষে, আওয়ামীলীগের নেতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দল ক্ষমতায় থাকতে বি এন পির ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক  শাহ আলমের মিথ্যা মামলায় রুবেল চৌধুরী জেল খেটেছেন।  

রাজনৈতিক গ্রপিং এর কারনে কলাপাড়ায় একশোর বেশী মামলা হয়েছে । এই সব মামলায় যারা ভুক্ত ভুগী রয়েছে সাবেক পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রী এ্যাডঃ আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান তালুকদার এম পি (বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আওয়ামীলীগ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, এস এম রাকিবুল আহসান। এই তালিকায় আরো আছেন পৌর যুবলীগের সভাপতি, বর্তমান কাউন্সিল মোঃ জাকি হোসেন জুকু খান, আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রিয়া বিষায়ক সম্পাদক খাইরুল হাসনাত খালিদ খান সহ আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ,সহ  সিনিয়ার নেতা কর্মিরা। সাধারণ মানুষের চাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান তালুকদার এর সমর্থকরা।