বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

জাবিতে মেয়েদের হলে শিক্ষকদের আনাগোনায় অস্বস্তিতে ছাত্রীরা


জাবিতে মেয়েদের হলে শিক্ষকদের আনাগোনায় অস্বস্তিতে ছাত্রীরা
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলে রাত ৯ টার পর পুরুষ শিক্ষকদের হুটহাট রুমে ঢুকে যাওয়ার ঘটনায় প্রতিরোধ জানলে সার্টিফিকেট না দেওয়ার হুমকি জানানো হয় শিক্ষার্থীকে।

প্রায় ৭০০ একরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন হলসহ মোট ৮ টি ছাত্রীহল রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো প্রীতিলতা হল। সাধারণত ছাত্রী হলগুলোতে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ, তবে কোনো কাজে হলে আসতে হলেও এর জন্য রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থাপনা। ওয়াইফাই বা ইলেকট্রিক কোনো কাজে লোক প্রবেশ করলে সাথে থাকে একজন আয়া। তিনি সবসময় লোকের সাথে থাকেন এবং ঘণ্টা বাজাতে থাকেন ছাত্রীদের সতর্ক করার জন্য। ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বস্তির জন্য কর্তৃপক্ষকে বরাবরই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হয়। তবে সম্প্রীতি ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কোনো ভূমিকা নেই বললেই চলে।

প্রতিটি হল এরই কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম ভেঙে প্রীতিলতা হলের ৪৭ তম আবর্তনের ছাত্রীদের রুমে নক না করে ঢুকে পরছে হলের পুরুষশিক্ষক গুলো। এছাড়াও রুমের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করা নিয়ে ক্ষিপ্ত ছাত্রীরা। শিক্ষার্থীদের সাথে অকথ্য ভাষায় কথা বলার বিষয়েও কর্তৃপক্ষের দায় দেখা যায় না। রাত ৯ টার পর কোনো পুরুষ শিক্ষকের হলে অবস্থান করার কথা না বলে জানান হলের শিক্ষার্থীরা। এইসব বিষয়ে ছাত্রীরা প্রতিবাদ জানালে তাদের সার্টিফিকেট না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ক্ষুদ্ধ ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের-আমরাই জাহাঙ্গীরনগর গ্রুপ এ এই বিষয়ে অভিযোগ জানালে সেই পোস্টটি সরিয়ে ফেলতে তাকে বাধ্য করা হয়।

পরিবার পরিজন ফেলে শিক্ষার্থীরা সেরা মানের পড়াশোনার জন্য উঠে আসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে। শুরুতে গণ রুম এ দীর্ঘদিন ধৈর্য্য ধরার পর ঠাই মেলে রুমে। ছোট একটি কক্ষে ৪ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এত কষ্টের পরও শিক্ষকদের হাতে হেনস্থা হওয়ায় ছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সাধারণ জীবনযাত্রায় ও ক্ষতি হচ্ছে।