শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিচারকের আসনে বসবেন লিজা


৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে 'আরটিভি ইয়াং স্টার সিজন টুর বিচারক হিসেবে কাজ করবেন।

২৯ আগস্ট ২০২৩, ১:২৪ অপরাহ্ণ 

বিচারকের আসনে বসবেন লিজা
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

বাংলাদেশের সঙ্গীত ভুবনের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও মিষ্টি গায়িকা হিসেবে যার সুনাম ছড়িয়েছে তিনি হলেন, সানিয়া সুলতানা লিজা। তিনি নিজেও ২০০৮ সালে 'ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ' নামের একটি রিয়েলিটি শোতে চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেন। দেড় দশকের ক্যারিয়ারে লিজা এবার নিজেই রিয়েলিটি শোর বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন।

৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩  থেকে 'আরটিভি ইয়াং স্টার সিজন টুর বিচারক হিসেবে কাজ করবেন। তার সময়ের কয়েকজন শিল্পী ইতোমধ্যেই বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন। লিজাও দেশের অন্যান্য বেশ কয়েকটি রিয়েলিটি শোর প্রাথমিক পর্যায়ের বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন। তবে এবারই প্রথম তিনি প্রধান বিচারক হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে লিজা দারুণ উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। কারণ, দেশের এত বড় একটি রিয়েলিটি শোর প্রধান বিচারকদের একজন হওয়া সহজ কোনো বিষয় নয়। লিজা বলেন, 'শুরুতেই মহান আলস্নাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। কারণ আমার কাছে বারবারই মনে হচ্ছে ২০২৩ সালটা আমার জন্য অনেক অনেক সৌভাগ্যের একটি বছর। এই বছরেই আমার জন্য আমার মা পেলেন মা পদক, বাবা পেলেন গর্বিত বাবা পদক। আর আমি হলাম রিয়েলিটি শোর বিচারক। তাও আবার প্রধান বিচারক। এটা যে কত আনন্দের ব্যাপার। নিজের ভেতর কতটা যে উচ্ছ্বাস আর আনন্দানুভূতি কাজ করছে তা মুখের কথায় বলে বুঝানোর মতো নয়। কারণ আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। আমার কাছে মনে হয় আরটিভি ইয়াং স্টারের প্রধান বিচারক হিসেবে কাজ করার বিষয়টি আমার জীবনে অনেক বড় একটি অংশ হয়ে থাকবে। বাংলা গানে নতুন কিছু সুন্দর ভয়েজ আসছে। আশা করছি সবকিছু খুউব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।'

একদম প্রথম দিকে বিচারক হিসেবে লিজা পেয়েছিলেন অবসকিউরের টিপু ও কীবোর্ডিস্ট পার্থ প্রতীশ বাপ্পীকে। পরবর্তীতে চূড়ান্ত পর্যায়ে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, ফাহমিদা নবী ও পার্থ বড়ুয়াকে পেয়েছিলেন।

এই সময়ের স্টেজ শোতে নিয়মিত গান পরিবেশন করছেন লিজা। বলা চলে স্টেজ শোর সেরা আকর্ষণই এখন সানিয়া সুলতানা লিজা। তবে লিজার এতেও একটা আক্ষেপও আছে। প্লে-ব্যাকে নিয়মিত হতে না পারা। এ সম্পর্কে লিজা বলেন, 'প্লে-ব্যাকে একটা সিন্ডিকেট কাজ করে। যারা এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত তারাই প্লে-ব্যাক করার সুযোগ পান। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬০টি প্লে-ব্যাক করেছি। গানের ক্যারিয়ার হিসেবে কমই। প্লে-ব্যাকে যদি বেশি সুযোগ পেতাম তাহলে আমাকে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় স্টেজ শো'র জন্য এভাবে ছুটতে হতো না।'

লিজা সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জীবন্ত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার হাত থেকে শ্রেষ্ঠ গায়িকার সম্মাননা গ্রহণ করেছেন।