রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪

জাবির হল থেকে অবৈধ শিক্ষার্থীদের অপসারণ প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের চাল


জাবির হল থেকে অবৈধ শিক্ষার্থীদের অপসারণ প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের চাল
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

সম্প্রতি গনধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে মেয়াদ উত্তীর্ণ ছাত্রদের হল থেকে অপসারনে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনায় ক্ষিপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।

গত ৩রা ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের আসামী বহিরাগত মামুনুর রশিদ মামুন এবং মীর মোশাররফ হলের মেয়াদ উত্তীর্ণ ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমানের এই স্পরধার জন্য দায়ি করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনকে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আন্দোলনের চাপে ৪ই ফেব্রুয়ারি জরুরি সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের ৫ দিনের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এবং যারা স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করেও অবৈধভাবে অবস্থান করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এরপর পুরোদমে ছাত্রদের হল থেকে অপসারণের কাজ শুরু হলেও দেখা যাচ্ছে অনিয়ম। প্রশাসন নন এলোটেড ছাত্রদের আগে হল থেকে বের করতে চাচ্ছেন কিন্তু শিক্ষার্থীরা মনে করেন ৪২ তম আবর্তনের ছাত্রদের প্রথমে অপসারণ করে এই কার্যক্রম চালানো উচিত। ৪৭ তম আবর্তনের শাওলীন বলেন, এক হলের ছাত্র অন্য হলে গেলেই সিট সংকট দূর হবে না, মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের বের করার প্রক্রিয়া অবশ্যই ব্যাচ অনুযায়ী হওয়া উচিত।

৪৩ ও ৪৪ তম ব্যাচকে বাদ দিয়ে ৪৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের হল থেকে অপসারনে ব্যস্ততা নিয়ে প্রশ্ন করেছে অনেক শিক্ষার্থী। দর্শন বিভাগের ছাত্র শান্ত জানান, প্রথম দিন তাদের উচিত ৪৪, ৪৩ ও ৪২ বা এর উপরের কেউ থাকলে তাদের বের করে দেওয়া। এরপর ৪৫ ও ৪৬ তম শিক্ষার্থীদের এবং সর্বশেষে নন এলোটেড ছাত্রদের অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এ বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন, প্রশাসন ছাত্রলীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে কিছু না করতে পেরে ৪৭-৫২ তম আবর্তনের ছাত্রদের হয়রানি করছে। আবার অনেকে শুধু ছাত্রলীগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মন্তব্যর বিরুদ্ধে মতবাদ জানান। তারা জানান, শুধুমাত্র ছাত্রলীগ না, ছাত্রত্ব শেষ হলেও হলে থেকে যায় সাংবাদিক, বাম পন্থী ও বেকার ছাত্ররা। তবে সবচেয়ে পুরনো ব্যাচকে হল থেকে বের করার ব্যাপারে সবাই একমত।  প্রশাসনের এমন উদ্যোগে ক্ষিপ্ত সকলেই এবং এভাবে কার্যক্রম চালালে হলগুলোর অবস্থা কয়েকমাস পর আবারও বাজে হবে বলে তারা মনে করেন।

এছাড়াও মেয়েদের হলগুলোতে এক সিটে ২ জন করে উঠিয়ে গনরুম বিলুপ্ত করার প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা। ৪৭ তম আবরতনের ছাত্র শাওলীন জানান, গনরুম বিলুপ্ত করে পুরো হলকে মিনি গনরুম বানাতে চাচ্ছে প্রশাসন।

অনেকে এই অব্যবস্থাপনাকে প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে দূরে রাখার জন্য রাজনৈতিক চাল বলেও সম্বোধন করছেন।