জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৩:৩৩ অপরাহ্ণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত ৩রা ফেব্রুয়ারি রাতে ঘটে যাওয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত সমূহের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে জাবির নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতি। এসময় শিক্ষকরা বহিরাগত ও অছাত্রমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, এর আগেও একাধিকবার ক্যাম্পাসে অবৈধ শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়ার কথা থাকলেও প্রশাসন তা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তার ফলেই ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। এবারেও প্রশাসন ৩ দিন পার হয়ে গেলেও আদতে কোনো অবৈধ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করতে পারেননি। তিনি প্রশাসনের কাছে এই জবাবদিহিতা দাবি করেন এবং তিনি প্রশাসনকে সর্বোত্তক আহ্বান করেন।
ক্যাম্পাসের মীর মশাররফ হোসেন হলকে চাঁদাবাজ ও মাদক সেবীদের আড্ডা খানা বলে দাবি করে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক গোলাম রাব্বানী বলেন, ক্যাম্পাসের এই হল হলো ক্যাম্পাসে মাদক ঢোকার রাস্তা। এই হলে প্রতিটি ব্যাচের জন্য এক এক জন মাদক সরবরাহকারী নির্ধারণ করা থাকে, যারা সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসে এই মাদক ছড়িয়ে দেয়। তিনি এই হলের সকল অছাত্রদের বের করে দিয়ে ক্যাম্পাসে মাদক প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিতে প্রশাসনকে আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকরা বলেন কিছুদিন আগেও আমরা দেখেছি প্রায় অর্ধ শতাধিক লেগুনা আটকে রেখেছিল শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়। এসব কিছুর ব্যর্থতা থেকেই আজকের এই ধর্ষণ কর্মকাণ্ড ঘটেছে। তাই এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলার কোনো অবকাশ নেই।
এ সময় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের পরিচালক বলেন, ‘আমরা যৌন নিপীড়নের বিষয়ে সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এর সাথে জড়িত কেউ কখনো পার পায় নি। সে বিভাগের শিক্ষক হোক, ভাল শিক্ষার্থী হোক আর ক্ষমতাধরই হোক না কেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩রা ফেব্রুয়ারি জাবি শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজ কর্তৃক বহিরাগত দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাস উত্তাল।