জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
২৬ আগস্ট ২০২৩, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালী জেলার অন্তর্ভুক্ত কলাপাড়া উপজেলার ১২ চম্পাপুর ইউনিয়নে গত ১৩ বছরেও হয়নি কোন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন।
২০১২ সালে বৃহত্তর ধানখালী ইউনিয়ন ভেঙে বিভক্ত করে নতুন ইউনিয়নের নাম করন হয় ১২ নং চম্পাপুর কিন্তু ১৩ বছর পার হয়ে গেলেও আজ পযন্ত হয়নি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য পটুয়াখালী জেলাকে গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যৎ সিঙ্গাপুরে রুপান্তর করার লক্ষে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চালাচ্ছে এই জেলায়, তার ধারাবাহিকতায় তৈরী হয়েছে, নৌ ঘাটি, সেনা ঘাটি,পায়রা বন্দর,পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সহ নানান গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, এছাড়াও চলমান বিসি বি এল, আর পি সি এল, আশুগঞ্জ প্রকল্প, এবং ই পি জেট এর মত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। নতুন করে সরকার আরো নানান প্রকল্প তৈরীতে আগ্রহ প্রকাশ করে গবেষণা অব্যাহত আছে। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন, তৈরী হয়েছে ফোরলেন, সিক্স লেন সহ কুয়াকাটা টু ঢাকা মহাসড়ক। ভবিষ্যতে কলাপাড়া উপজেলা থেকে পদ্মা সেতু পযন্ত রেল সড়ক তৈরী করতে চলছে প্রকল্প গবেষণা।
কিন্ত ৩২ হাজার জনসংখ্যার ১২ হাজার ভোটার কেন্দ্রীক এই চম্পাপুর ইউনিয়নে লাগেনি তেমন কোন উন্নয়নের ছোয়া। সাবেক পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রী এ্যাডঃ আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান তালুকদার এম পি থাকা কালিন ৬৪ কিলোমিটার আয়তনের এই চম্পাপুর মাত্র চার কিলোমিটার পাকা সড়ক পায়, তাও আবার ভেড়ি বাধ ভেঙে বন্যার পানি আসায় দুই কিলোমিটার ভেঙ্গে গেছে। এলাকার জন সাধারণ চাদা তুলে অটো,বাইক,ও টমটম শ্রমিকদের সহায়তায় ২০ বারের বেশী মেরামত করে কোন রকম গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহন করছে শ্রমিকরা। এই ইউনিয়নে আছে ১২ টি প্রাথমিক ও ৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৫টি মাদ্রাসা। এই ব্যাপারে একাধিক বার নানান পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হলেও কোন রকম সারা পাওয়া যায়নি উপজেলা প্রশাসন ও এম পি মহোদয়ের পক্ষ থেকে। এলাকার যুব সমাজ ফেসবুক লাইভে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করছে নেট দুনিয়ায়। গতকাল ২৩ শে আগষ্ট বুধবার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকারের প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ঘুনিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লি সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের প্রায় ২০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা পাস হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৯,১১,৮৪,৯,৬৩ টাকা। তবে বরাবর এর মত এবারো বঞ্চিত থেকে গেলো এই চম্পাপুরের মানুষ।
সাধারণ জনগণের দাবি, আমরা বার বার নৌকায় ভোট দিয়ে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান , জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান , এবং এম পি বানাই কিন্তু সব জায়গায় উন্নয়ন হয় দেখি কিন্তু আমাদের ইউনিয়নে হয় না? আমাদের দীর্ঘদিনের ভেড়িবাধ সমস্যার সমাধান ধানখালী এবং চম্পাপুরের চেয়ারম্যান ও জনগণের সহযোগিতায় এম পির হস্তক্ষেপে হয়েছে ঠিকই কিন্ত কাটেনি আমাদের দুদশা। জেলাপরিষদ এর সাবেক সদস্য এবং এই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম মোশাররফ মৃধা বলেন, আমরা এই উপজেলার অনান্য ইউনিয়নের চেয়ে রাস্তাঘাট অবকাঠামোর দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে আছি, আমি উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবী করবো যাতে খুব শীগ্রই সমস্যাগুলোর সমাধান করেন। অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি প্রবীন নেতা গাজী আমির হোসেন বলেন, এই ইউনিয়ন কে সবাই মুজিব নগর নামে চেনে কিন্তু এই নাম এখন ধরে রাখা দায়, কারন সাধারণ জনগণ এলাকায় উন্নয়ন না হাওয়ায় ক্ষুব্ধ। আমরা চাই এর সমাধান হউক। এই ইউনিয়ন এর পাশ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ও রাঙাবালী উপজেলার চর চালিতাবুনিয়ার মানুষ এই সড়ক ব্যবহার
করে কলাপাড়া উপজেলায় যাতায়াত করে প্রতিনিয়ত, তাই সড়ক টি খুবই গুরুত্ব বহন করে।