উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী কুবি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন মেরী
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
২৬ আগস্ট ২০২৩, ৩:৩৭ অপরাহ্ণ
ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহাল দশার সংস্কারের দাবিতে শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) সকালে শহরের গার্লস স্কুল রোডে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আধাবেলা প্রতিকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় সমাজ উন্নয়ন কর্মী বালী তূর্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, নলছিটি শহরের প্রানকেন্দ্রের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গার্লস স্কুল সড়ক, প্রতিদিন রাস্তাটি দিয়ে উপজেলা শহরের প্রধান দুই বিদ্যালয় নলছিটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
রাস্তাটি খানাখন্দভরা এবং কাদা পানিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে আছে কয়েক বছর যাবত। আবার এই একই স্থানে দলিল লেখকদের চেম্বার এবং রেজিস্ট্রার কার্যালয় হওয়ায় উপজেলার সব এলাকার মানুষকেই দলিলপত্র সংগ্রহ করতে এখানে আসতেই হয়।তারাও মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হন।
বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় ময়লা কাদা পানির কারণে প্রায়ই ইউনিফর্ম নস্ট হয়ে যায়, পা পিছলে পড়ে গেলে বইখাতা নস্ট হয়ে যায়, কাপড় নোংরা হয়ে যায়। তারা এই সড়কটির দ্রুত সংস্কার দাবি করেন।
স্থানীয় যুবক সোহাগ হোসেন বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত এমন বিশ্রী অবস্থায় পরে আছে। কাদাপানির কারণে দলিলপত্র সংগ্রহ করতে আসা মানুষ, এবং শিক্ষার্থীদের মারাত্মক ভোগান্তিতে পরেন। দলিল লেখকদের কার্যালয়ে আসতেও লোকজনের সমস্যা হয়।
সড়কের দু'পাশের বাসিন্দারাও ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন, মূল শহরের মধ্যে এমন দূর্ভোগ মেনে নেয়া যায় না। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও কোনো সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুতই এর সংস্কার করা না হলে আমরা সবাই মিলে বিক্ষোভ মিছিল করবো।।
প্রতিকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা যুবক বালী তাইফুর রহমান তূর্য বলেন, পৌরসভাটি ১৮৬৫ সালে স্থাপিত এই দেশের দ্বিতীয় পৌরসভা হলেও উন্নয়নে আমরা সবার থেকে পিছিয়ে আছি। পৌরসভার ০৯ টি ওয়ার্ডের সবগুলো ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর বেহাল দশা হয়ে আছে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীদের হাসপাতালে নিতে অবর্ননীয় কস্ট করতে হয়। অধিকাংশ এলাকার রাস্তায় গাড়ি না চলায় রোগীদের কোলে করে মেইন রোডে আনতে হয়। গর্ভবতী নারীর গর্ভের সন্তান পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে না।
পৌর কর্তৃপক্ষের সীমাহীন অবহেলা ও খাম খেয়ালির কারনে নাগরিকদের জনজীবন ঝুকির মুখে। ব্যবসায়ীরা সহজে পন্য পরিবহন করতে পারছেন না, শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না। রোগী চিকিৎসা নিতে যেতে পারছে না।স্যাটেলাইট আর পদ্মাসেতুর জমানায় আমাদের এমন দূর্ভোগ মেনে নেয়া যায় না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন এবং পৌরসভার যতগুলো ভোট কেন্দ্র আছে তার কোনোটির রাস্তাই ভালো নেই। তাই আমি দাবি জানিয়েছি যাতে করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই সকল ভাঙাচোড়া রাস্তাঘাট সংস্কার করা হয়।