ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো'র ১০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র্যালি
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৬:১৩ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের পুরানমহিপুর গ্রামে খালের মাছ ধরায় বাধাদিতে গেলে এমন ঘটনা ঘটে। এতে ৮/৯ জন মিলে পিটিয়ে আহত করে মনোতোষ পাইক নামের এক যুবকে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছে। আহত মনোতোষ জানান, আমাকে যারা মেরে আহত করেছে তাদের মধ্যে মিলন হাওলাদার উল্টো হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছে।
এছাড়া হামলার সময় মনোতোষের সাথে থাকা সন্তোষ মিস্ত্রি অভিযোগ করে বলেন, উত্তম, দিলিপ, সঞ্জয়, সঞ্জীব, মিলন, দিপক হালদার সহ প্রায় ৮/৯ জনের দল এসে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এর এক পর্যায় মনোতোষের মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়।
এছাড়াও তিনি আরও জানান, তিনি সহ ওখানে যারা ছিলো তারা কেউ মারপিটের উদ্যেশ্যে যায়নি তাই তাদের হাতে প্রতিরোধের কিছুই ছিলনা। সেই সুযোগ কে তারা কাজে লাগিয়ে মনোতোষকে আহত করেছে। অথছ তাদের অপরাধ ঢাকার জন্য তারা নিজেরা মাথায় পোচ দিয়ে উল্টো এসে হসপিটালে ভর্তি হয়েছে।
এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা অসিত খরাতী বলেন, এ ঘটনার নেতৃত্বকারী উত্তম হালদার একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক। সে সব সময় সমাজের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে রাখে এবং প্রতিবেশীদের সাথে বিভিন্ন সময় সে বাগ-বিতণ্ডা এবং মারামারিতে জড়িয়ে সমাজটাকে খন্ড-বিখন্ড করে রেখেছে আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ উত্তম হালদারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন,মাছ ধরা নিয়ে একটি দ্বন্দ্বের ঘটনা শুনেছি তবে কোন পক্ষের কাছ থেকে এখনো পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।