স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) হতাশা প্রকাশ করেছে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে। তার কিছুক্ষণ পর বনানীতে হিরো আলমকে বেদম মারধরের ঘটনা ঘটে।
হিরো আলম বলেন, নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে দেখানোর জন্য আমি মাঠে আছি। নির্বাচন নিয়ে হতাশ আমরা। বারবার নির্বাচন কমিশনে ফোন দিয়েছি, কিন্তু তারা একবারও কোনো রকমের খোঁজ-খবর নেয়নি আমাদের।
দুপুর ২টার দিকে ওই কেন্দ্রে তেমন কোনো ভোটার দেখা যায়নি। কিন্তু হিরো আলমকে দেখে উৎসুক জনতাদের দেখা যায় সেলফি, ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়।
হিরো আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, "ভোটকেন্দ্রের অবস্থা মোটেও ভালো না। আমার এক নারী এজেন্টকেও মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো।"
এরআগে বনানী মডেল স্কুলের ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে হিরো আলম এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে।
সেই কেন্দ্রে তিনি বলেন, “৬০০ লোক নিয়োগ দিয়েছি ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এরমধ্যে আমার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে এখন পর্যন্ত ১২টি কেন্দ্র থেকে। আমার ভোটারদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আজকের নির্বাচনটি সুষ্ঠু হবে কি-না, তা নিয়ে আমি সন্দেহ করছি।”
বিকেলে ভোটের শেষ মুহূর্তে বনানীতে হিরো আলমকে মারধর করা হয়।বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, " আমি সারা দিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করছি। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রে কিছু লোক আমার ওপর হামলা চালায়।"
একতারা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিরো আলম, জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের এই উপ-নির্বাচনে।