বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

দুই দোকানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করল খাদ্য মন্ত্রণালয়


২৯ জানুয়ারী ২০২৪, ৭:১৯ অপরাহ্ণ 

দুই দোকানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করল খাদ্য মন্ত্রণালয়
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারওয়ান বাজারের চালের পাইকারি দোকানে অভিযান পরিচালনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম। এ সময় দামের কারসাজি ও প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারসহ বেশ কয়েকটি অসংগতি পাওয়ায় দুটি দোকানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারওয়ানবাজার চালের পাইকারি বাজারে অভিযানে নামে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান ছেড়ে পালিয়ে যান অনেক ব্যবসায়ী। এদিকে দামের কারসাজি, প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারসহ বেশ কয়েকটি অসংগতি পায় দলটি।

অভিযানকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. লুৎফুর রহমান বলেন, পণ্যমূল্য নির্ধারণের সময় ব্যবসায়ীদের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের মধ্যে পার্থক্য সহনশীল রাখতে হবে। এটি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে হবে। পণ্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে।

এ ছাড়া সঠিক মূল্যতালিকা প্রদর্শন করতে না পারায় দুটি দোকানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুন্নাহার বলেন, দোকানিরা মূল্য তালিকা সঠিকভাবে প্রদর্শন করেননি। কোন চাল কত টাকা সেটি সঠিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি। সে জন্য আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৩৮ ধারা অনুযায়ী দোকান মালিকদের জরিমানা করেছি।

দাম তদারকিতে এসে প্লাস্টিকের চালের বস্তা ব্যবহার বন্ধে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্লাস্টিকের চালের বস্তা দোকানদারদের বয়কটের যুক্তিও দেন তিনি।

নিত্যপণ্যের দাম দিনদিন বাড়তে থাকায় মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। রমজান মাস না আসতেই বেশ কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো সভা করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও বাজারে কোনো প্রতিফলন নেই। জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

বাজারে নিত্যপণ্যে নাভিশ্বাস এক ক্রেতা বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম এতই বেড়েছে যে আগে বাজারে ২ হাজার টাকা নিয়ে এলেই হতো। এখন ৪ হাজার টাকা নিয়ে আসতে হচ্ছে। ডাল থেকে শুরু করে মসলা সবকিছুর দামই বাড়তি। সবকিছুর দামই অস্বাভাবিক।’

আরেকজন বলেন, ‘আমরা কুলাতে পারছি না। এখন আর কিই-বা করার আছে। আমরা মধ্যবিত্ত। আমরা এমন অবস্থায় আছি যে না মরতে পারি, না বাঁচতে পারি। এখন তো নতুন সরকার গঠন করা হলো। এখন দেখি তারা কিছু করতে পারে কি না।’