শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

কলাপাড়ায় সর্বনিম্ন ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড


২৮ জানুয়ারী ২০২৪, ৫:১৫ অপরাহ্ণ 

কলাপাড়ায় সর্বনিম্ন ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ঘন কুয়াশার সঙ্গে তীব্র শীতে কাঁপছে সর্ব দক্ষিনের পটুয়াখালীর কলাপাড়ার জনজীবন। আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলায় সর্বনিম্ন ৮.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস।

বিগত ৫ বছরের মধ্যে কলাপাড়া উপজেলায় আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষ। দুর্ভোগে রয়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। অনেকেই খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে ১০ ডিগ্রীর নিচে তাপমাত্রা নামায় উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও খোলা রাখা হয়েছে সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। জেলার সকল হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা।

নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবিলা আহমেদ জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্কুলে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছ।

কলাপাড়া পৌর শহরে ষাটোর্ধ অটোরিকশা চালক আব্দুর রহিম জানান, অভাবের তাড়নায় এই শীত অপেক্ষা করো কাজে নামতে হয়। একদিন না নামলে খাবার জোটে না।

দিনমজুর আব্দুল করিম জানান, এই শীতে কাজে যেতে পারছি না তাই আগুন পোহাচ্ছি। পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

খেপুপাড়া ঝড় সতর্কীকরণ রাডার স্টেশন ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সকালে শীত একটু বেশি অনুভূত হলেও বেলা হওয়ার  সঙ্গে সঙ্গে রোদও উঠেছে। এবং শীত কমে গেছে। যে কারণে আমরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেইনি। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা পেলে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, মাসজুড়ে এমন শীত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে ভোরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বয়ে যেতে পারে।