রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫

বুয়েটের হলে মাত্র ৩৫ টাকাতেই মিলছে মাছ, মাংস, ডিম


বুয়েটের হলে মাত্র ৩৫ টাকাতেই মিলছে মাছ, মাংস, ডিম
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

বুয়েটের হলে প্রতিদিনের সাধারণ খাবার হিসেবে দেওয়া হয় মাছ, মাংস, ডিম সাথে সবজি ও ডাউল। প্রতি শুক্রবার দুপুরে গরু ও মাসে ৬-৮ দিন স্পেশাল বিভিন্ন আয়োজন। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিবেলার খাবার খরজ পরে মাত্র ৩৫ টাকা।

বুয়েট হলের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য হল ডাইনিং এ খাওয়া বাধ্যতামূলক। এজন্য প্রতি মাসে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ডাইনিং ফি বাবদ ২১০০৳ পরিশোধ করতে হয়। প্রতিদিন দুপুর ও রাতে দুইবার খাবার দেওয়া হয়। সেই হিসাবে প্রতিবেলার খাবার খরজ পরে ৩৫ টাকা।

মেসের খাবার দুই রকম হয়ে থাকে। ১) সাধারণ ডেইলি খাবার ২) ফেস্ট বা স্পেশাল খাবার। প্রতিমাসে ৬-৮ দিন ফেস্ট বা স্পেশাল খাবার দেওয়া হয় (যেকোনো একবেলা স্পেশাল থাকে)। অন্যদিকে নরমাল খাবারের মধ্যে অপশন থাকে তিনটা - মাছ, মুরগি অথবা ডিম যেকোনো একটি আর এর সাথে কমন খাবার হিসাবে থাকে সবজি ও ডাউল।

ফেস্টের মধ্যে কমন টাইপ গুলো হলো মোরগ পোলাও, চিলি চিকেন, চুইঝাল, কালা ভুনা, পিঠা উৎসব, গরু উৎসব ইত্যাদি। ফেস্টের দিনে ডাইনিং এ উৎসবমুখর পরিবেশের আবির্ভাব ঘটে। সিনিয়র জুনিয়র সবাই সেদিন রাত ৮:৩০ বাজতেই সবার আগে ডাইনিং এর একটা সিট দখল করতে রুম থেকে বেরিয়ে প্রস্তুত হয়ে থাকে।

এই বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ফয়সাল রহমান বলেন "ডাইনিং এর খাবারে আমরা সন্তুষ্ট। ভালোমানের খাবারের পাশাপাশি ডাইনিং এর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকটাও অনেকটা ভালো। তার সাথে সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে কোনো নিয়ম নাই যে যখন ইচ্ছা সিরিয়াল মেইনটেইন করে খেতে পারে।"

একই হলের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম শিহাব খাবারের ব্যাপারে বলেন, "ডাইনিং এর কমন খাবারগুলো যেমন মানসম্মত একই সাথে স্পেশাল ফেস্টগুলোও অনেক আকর্ষণীয়। আবার অন্য ভার্সিটির হলে যেখানে ডাউলের মধ্যে শুধু পানি পাওয়া যায় এখানে ডাউলে পর্যাপ্ত ডাউল পাওয়া যায় এবং হলের সিনিয়র ভাইয়েরা অনেক কেয়ারিং ও সবকিছু ঠিকভাবে মেনটেইন করে থাকে।"

অন্যদিকে সাবেকুর নাহার সনি হলের ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাইন তাসনিম জিসা একই সুরে বলেন তারাও তাদের হলের খাবার নিয়ে সন্তুষ্ট।

হলের এই মানসম্মত খাবারের মূল নেপথ্যে আছে নিজেদের খাবারের ব্যবস্থাপনা শিক্ষার্থীরা নিজেরাই করার ব্যাপারটা। মূলত হলের চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রতিমাসের ডাইনিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয় হল কর্তৃপক্ষ থেকে। তাদের সুন্দর ব্যবস্থাপনা হলের খাবারের মান ধরে রেখে শিক্ষার্থীদের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে চলেছে।