রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪

বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ৩ আরসা সদস্য আটক


২৫ জানুয়ারী ২০২৪, ৭:১৯ অপরাহ্ণ 

বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ৩ আরসা সদস্য আটক
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পাশে নিস্তব্ধ ও মানব শুণ্য গহীন পাহাড়। এখানেই অস্ত্র স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কথিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো আস্তানা গেড়ে বসার তথ্য বিভিন্ন সময় জানিয়ে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এই নির্জন পাহাড়ে গতকাল বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতভর অভিযান চালাবে র‍্যাব-১৫। যেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার তিন সদস্যকে আটকের দাবী র‍্যাবের।

অভিযান শেষে র‍্যাব হেফাজতে আটক দুই আরসা সদস্য জানান, নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই এই লাল পাহাড় থেকেই হামলার উদ্দেশ্যে রওনা করে থাকেন তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে র‍্যাব ১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, আরসার তিন সন্ত্রাসীকে ধরার পর মজুদ অস্ত্রের খোঁজে পাহাড় থেকে পাহাড়ে তল্লাশী শুরু করে র‍্যাব। তারপর ২২টি অস্ত্র ১শো তাজা গুলি চারটি স্থলমাইন উদ্ধার করে।

র‍্যাব অধিনায়ক বলেন, আরসা শুধু ক্যাম্পে দখলদারিত্ব ও ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য অপরাধ করছেনা, প্রয়োজনে এপিবিএন, পুলিশ র‍্যাবকেও হামলার টার্গেট করছে।

র‍্যাব কমান্ডার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনি ও মাস্টার খালেদের নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লাল পাহাড়ে আস্তানা গেঁড়ে সেখানে অস্ত্র মজুত করে আরসা সন্ত্রাসীর একটি গ্রুপ। আতাউল্লাহ ও খালেদের নির্দেশে সেই সব অস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেন তারা। এই আস্তনায় ৬-৭ জনের একটি গ্রুপ অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিরা অভিযান টের পেয়ে পলিয়ে যায়।

উসমান যেভাবে গান কমান্ডার হলেন:

গ্রেপ্তারকৃত উসমান হলেন আরসার গান গ্রুপের কমান্ডার। গত দুয়েক মাস আগে আরসার গান গ্রুপ কমান্ডার সমিউদ্দিন র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হলে পরবর্তীতে উসমানকে গান গ্রুপ কমান্ডার নিযুক্ত করেন আরসা। আরসার সঙ্গে নিজের নাম লেখানোর আগে তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ সেনাবাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতো বলে জানান র‍্যাব। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে উসমানের পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করে মিয়ানমার সরকার। তখন উসমান একটি একে-৪৭ সহ পালিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে মাস্টার খালেদের সাথে আরসায় যোগ দেন বলে জানায় র‍্যাব ।

র‍্যাব আরও জানান, উসমান নিজ হাতে দুইজনকে  হত্যা করে। তার মধ্যে একজন হলো ক্যাম্প -১৭ এর আব্দুল্লাহ। আরেকজনকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে  উসমান।  

মাইন বিশেষজ্ঞ নেছার তৈরি করেছেন ৫শ' মাইন:

আরসা মাইন গ্রুপের ১০ সদস্যের মধ্যে নেছার হলেন মাইন বিশেষজ্ঞ। যার হাত দিয়ে তৈরি করেছে ৫ শ'র অধিক মাইন। এসব মাইন তিনি গ্রুপের সদস্যদের মাধ্যমে আরসা সদস্যদের একজনকে দুই তিনটি মাইন ডিস্ট্রিবিউট করে দিতো নাশকতা করার জন্য, জানান র‍্যান কমান্ডার।

নেছারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, নেছারী নিজ হাতে ৫ শতাধিকের উপরে মাইন তৈরি করেছেন। এছাড়াও গ্রেপ্তার ইমাম হোসেন দক্ষ শ্যুটার। তিনি উসমানের গানগ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য।