বাগেরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় অপর ট্রাকের হেলপার নিহত
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
২৩ জানুয়ারী ২০২৪, ৬:৩৩ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নামাজ আদায়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন একটি মসজিদের মুসুল্লিরা। কখনও খোলা আকাশের নিচে, কখনও বা স্কুলের বারান্দায় যখন যেখানে সুযোগ হয় সেখানেই নামাজ পড়ছেন তারা। বর্ষার সিজনে কখনও জামাতে নামাজ আদায় বন্দও রাখতে হয় তাদের।
এর আগে নামাজ পরার জন্য একটি টিন সেডের মসজিদ ছিলো। সেটিও বছর পাচেক আগে ঝড়ে ভেঙ্গে যায়। সেই থেকেই মুসুল্লিরা বেশির ভাগ সময় অস্থায়ী ভাবে ওই স্কুলের বারান্দায়ে নামাজ পরছেন। ইবাদতে এমন দুর্ভোগের কথা বলছিলেন উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সুলতানগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নির্মাণাধীন একটি জামে মসজিদের মুসুল্লিরা।
তারা জানান,মসজিদটি ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর স্থানীয় মুসল্লি এবং এলাকাবাসীর নিজস্ব কিছু অর্থ দিয়ে শুরু করা হয় পাঁকা মসজিদ নির্মাণের কাজ। এরপর আস্তে আস্তে করে মসজিদটির চতুর্পার্শের বিম কলামের কাজ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু অর্থের অভাবে থমকে যায় নির্মাণ কাজ।
সুলতানগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনায়েত কবির মন্টু মাতব্বর জানান, মসজিদটির ছাদ ঢালাইয়ের আশায় একবার সেন্টারিং করা হয়েছিলো। তা অনেকদিন ফেলে রেখে টাকার যোগান না হওয়ায় আবার খুলে ফেলা হয়।
একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. নাসিরুদ্দিন বলেন,এই মসজিদে স্থানীয় মুসল্লি শিক্ষক এবং পার্শ্ববর্তী নৌবাহিনী ক্যাম্পের অনেক অফিসার এসে নামাজ আদায় করেন, তবে দুঃখের বিষয় দীর্ঘ ৪/৫ বছর যাবৎ অর্থের অভাবে এটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
মসজিদের ইমাম মো. মনজুর বিল্লাহ বলেন, স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একত্রিত হয়ে পাকা মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সেই থেকে অর্থের অভাবে আজও মসজিদটি পরে রয়েছে। যে কারনে তিনি মুসল্লিদের নিয়ে অস্থায়ী ভাবে স্কুলের বারান্দায় নামাজ আদায় করছেন। তাই এ দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মমন্ত্রনালয়, ধর্মপ্রাণ মুসলমান, প্রবাসী ও সমাজের বিত্তশালীরা যদি এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তবে মুসল্লিদের নিয়ে একটু স্বস্তিতে নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এবিষয়ে কোন আবেদন পাইনি পেলে সহযোগিতা করা হবে।