
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
২৩ জানুয়ারী ২০২৪, ৫:৪২ অপরাহ্ণ
মানুষ সচরাচর স্বপ্ন দেখে। এটা স্বাভাবিক বিষয়। মানুষ অনেক সময় নিজের চিন্তার বিষয়েও স্বপ্ন দেখে। অনেক সময় স্বপ্ন দেখে এর ব্যাখ্যা জানতে অস্থির হয়ে যায়। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঘুম হলো মানুষের ছোট মৃত্যু। ঘুমন্ত অবস্থাতেই সাধারণত আমরা স্বপ্ন দেখি। আজ কথা বলবো স্বপ্নে তৃপ্ত হয়ে পানি পান করতে দেখলে কী হয় এ বিষয়ে।
বিখ্যাত হাদিস বিশারদ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. বলেন, মানুষ যত স্বপ্ন দেখে তা মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। সত্য স্বপ্ন। অসত্য স্বপ্ন। সত্য স্বপ্ন নবীদের ও তাদের অনুসারী নেককার লোকদের স্বপ্ন।
দ্বিতীয় প্রকার হলো মিশ্র ধরনের মিথ্যা স্বপ্ন, যা কোনো ব্যাপারে সতর্ক করে। যেমন, শয়তানের খেলা যা দিয়ে কাউকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। ফলে সে দেখে যে তার মাথা কেটে ফেলা হয়েছে।
সত্য ও ভালো স্বপ্ন দেখলে আল্লাহর পক্ষ থেকে মনে করা ও আল্লাহর শুকরিয়া করা। আর মন্দ স্বপ্ন দেখলে শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা. বলেন, নবী করিম সা. বলেছেন, তোমাদের কেউ যদি এমন কোনো স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। সুতরাং তার উচিত আল্লাহর প্রশংসা আদায় করা ও অন্যদের স্বপ্ন সম্পর্কে বলা।
স্বপ্নে তৃপ্তিসহকারে পানি পান করতে দেখলে এর ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে সিরিন বলেন, যে এমন স্বপ্ন দেখেছে তার উত্তম জীবন লাভ হবে। যদি সে অসুস্থ হয়, সুস্থতার নেয়ামত পাবে। সুখসময় জীবন লাভে তার চেষ্টা করা উচিত।
আল্লামা ইবনে সিরিন রচিত মুনতাখাবে আরো বলা হয়, বান্দাকে আল্লাহ কখনো তার আনুগত্য করার জন্য বিশেষ বিশেষ স্বপ্ন দেখায়। স্বপ্নেই তাকে পরিতৃপ্ত মনে হয়। তখন বান্দার উচিত আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। আর আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে লিপ্ত রাখা। নাফরমানি থেকে বিরত রাখা।
স্বপ্নে তৃপ্তি সহকারে পানি পান করার বিষয়ে প্রসিদ্ধ হাদিসের গ্রন্থ আবু দাউদে একটি হাদিস পাওয়া যায়। হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ আবু দাউদ ও অন্যান্য হাদিসের গ্রন্থে হযরত সামুরা বিন জুন্দুব রা. হতে বর্ণিত হয়েছে যে, জনৈক ব্যক্তি বলল হে আল্লাহর রসুল! আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আকাশ থেকে একটি বালতি নামানো হয়েছে। হযরত আবু বকর রা. এসে সেই বালতির কিনারায় ধরে তা হতে সামান্য পানি পান করলেন। তারপর হযরত ওমর রা. এসে সেই বালতির কিনারায় ধরে তা হতে তৃপ্তি সহকারে পানি পান করলেন। তারপর হযরত উসমান রা. এসে সেই বালতির কিনারায় ধরে তৃপ্তিসহকারে পানি পান করলেন। তারপর আলী রা. এসে সেই বালতির কিনারায় ধরলেন। কিন্তু বালতি কাঁপতে শুরু করল। তা থেকে কিছু পানি ছিটে তার শরীরে লাগল।
এ স্বপ্নের ব্যাখ্যায় বলা হয়, সিরিয়াল অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে হযরত আবু বকর, হযরত ওমর, হযরত উসমান ও আলী রা. খলিফা হবেন। বালতি হতে প্রত্যেকের কম বেশী পানি পান করা খেলাফতের সময়সীমার প্রমাণ বহন করে।