বাগেরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় অপর ট্রাকের হেলপার নিহত
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
২২ জানুয়ারী ২০২৪, ৮:২২ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগে কাটছে না লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) এর সংকট। ফলে সহসাই বাড়তি চাপ পড়ছে সচল ইঞ্জিনগুলোর ওপর। যেহেতু সচল ইঞ্জিনগুলো সাধারণত একবার চলাচলের পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিশ্রামে রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু রুটে ইঞ্জিন বিশ্রাম ছাড়াই ব্যবহার হচ্ছে।
তাছাড়া বর্তমানে বিকল অবস্থায় আছে ৩৭টি ইঞ্জিন, এগুলো মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যে কক্সবাজার রুটে দুটো আন্তঃনগর ট্রেনের পর এবার কমিউটার চালুর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রেলওয়ে। কিন্তু ইঞ্জিন সংকটে কারণে ঠিক কবে থেকে এই ট্রেন চালু হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে পাহাড়তলীর রেলওয়ে ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানায় এ বিষয় জানতে চাইলে জানায়, "চট্টগ্রাম বিভাগের ট্রেন চলাচলে ইঞ্জিন রয়েছে ৯৭টি। কিন্তু এর মধ্যে বর্তমানে সচল আছে প্রায় ৬০টি। অপর ৩৭টি ইঞ্জিন মেরামতের কাজ চলছে।"
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কমিউটার ট্রেন চলাচল সম্পর্কে জানতে চাইলে রেল পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সংস্থাপন ও অতিরিক্ত চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট জাকির হোসেন বলেন, ‘নতুন রুটে ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত আপাতত এই মুহূর্তে নেই। যদি ট্রেন চালু করতে হয় তাহলে রেলের আয়বর্ধক কন্টেইনারবাহী ট্রেন বন্ধ করতে হবে। সেই ট্রেনের ইঞ্জিন লাগিয়ে রুটে নতুন ট্রেন চালু করতে হবে।’
ফেব্রুয়ারি মাসে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হবে কিনা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের কর্মব্যবস্থাপক (পূর্ব) সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আপাতত মাস দুয়েকের মধ্যে নতুন করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কোনো কমিউটার বা আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা সম্ভব নয়।’
তবে স্থানীয়দের দাবি অতি সত্তর কমিউনিটি ট্রেন এর সংযোজন ব্যাবস্থা করে দিলে তাদের চলাচল ব্যাবস্থা নিরাপদ ও উন্নত হবে।