খুকৃবিতে "জুলাই শহীদ স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট" উদ্বোধন
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
২০ জানুয়ারী ২০২৪, ৭:১৫ অপরাহ্ণ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই বাজারে বিক্রি হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব রয়েছে। বছরের শুরুতে এসব বই কিনতে লাইব্রেরী গুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকার শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য যুক্ত করেছেন সৃজনশীল পদ্ধতি। একই সাথে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নোট ও গাইড বই বিপনন, প্রদর্শন, প্রস্তুতকরণ ও প্রকাশনা নিষিদ্ধ করলেও এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এক শ্রেণীর লাইব্রেরির মালিকেরা নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট ও গাইড বই অবাধে বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও লাইব্রেরীর মালিক ও প্রকাশনার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও শ্রেণী শিক্ষকদের লোভনীয় কমিশন ও অনুদান দিয়ে ম্যানেজ করে এসব নোট ও গাইড বই বিক্রি করছে। উপজেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন হাটবাজারের লাইব্রেরীতে এগুলো আবাধে বিক্রি হচ্ছে সরকারি নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই।
সরকার ঘোষিত ১৯৮০ সালে এক প্রজ্ঞাপনে নোট ও গাইড বই প্রকাশনা, আমদানি, সংরক্ষণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। সেই সাথে নিষিদ্ধ আইনে ৭ বছরের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিতের বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এছাড়াও ২০০৮ সালে এক নির্বাহী আদেশে নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের তদারকি ও নজরদারি না থাকায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে সরকার নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই।
এ ব্যাপারে অভিভাবকরা বলেন, সরকার বিনামূল্যে বই দিলেও অনেক টাকা দিয়ে আমাদের নোট বইগুলো কিনতে হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, প্রাইভেট কোচিং ছাড়া ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা করতে চাচ্ছে না। অর্থের অভাবে প্রাইভেট কোচিং এ পড়াতে না পারায় বাধ্য হয়ে ছেলেমেয়েদের কিনে দিতে হচ্ছে নোট ও গাইড গুলো।
এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট ও গাইড বই বিক্রিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় লাইব্রেরীর মালিকেরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে অবাধে প্রতিনিয়তই নোট ও গাইড বই বিক্রি করে আসছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একই প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই, তবে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।