ফরিদপুর জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ অনুষ্ঠিত
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫
২০ জানুয়ারী ২০২৪, ৪:১৩ অপরাহ্ণ
ইলিশ, লবস্টারসহ ছোট-বড় নানা প্রজাতির মাছে জমজমাট হয়ে উঠেছে কক্সবাজার ফিশারীঘাট।আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) ফিশারীঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মাছ বিক্রেতা মো. হারুন ৮০০ গ্রাম ওজনের একটি লবস্টারের দাম হাকছেন ২ হাজার ৫০০ টাকা। এই লবস্টারটির সাথে ৫০০ গ্রাম থেকে আরও বেশ কয়েকটি লবস্টার ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে চান বলেও জানান তিনি। আর অক্টোপাস ৩০০ টাকা ও স্কুইড ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর মো. এখলাস নামে আরেক মাছ বিক্রেতা ৭ কেজি ওজনের একটি রেড স্ন্যাপার বা লাল কোরালের দাম হাকেন সাড়ে ৫ হাজার টাকা।
এখানকার পাইকারি ক্রেতারা মাছ কিনে কক্সবাজার, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে দেন। এককেজন মাছ ব্যবসায়ী দিনে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ লাখ টাকার মাছ কিনেন বলে জানালেন।
পাইকারি ছাড়া কক্সবাজার ফিশারীঘাটে খুচরা ভাবে মাছ বিক্রি হচ্ছে। হবে সে ক্ষেত্রে ক্রেতাদের কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি গুনতে হয়।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মার্কেটিং অফিসার গোলাম রব্বানী জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে প্রতিদিন ২৫ টন মাছ ধরা পড়ছে কক্সবাজার ফিশারীঘাটে। এর মধ্যে শুধু ইলিশ ধরা পড়ছে ১৫ থেকে ২০ টন।
ইলিশ ছাড়াও এদিন রূপচাঁদা, ভেটকি, চিংড়ি, পোমা, রেড স্ন্যাপার, সুরমা, বাইম, কই কোরালহ নানা প্রজাতির মামুদ্রিক মাছ দেখা গেছে ফিশারীঘাটে। ইলিশের পাশাপাশি মাইট্টা ও পোম মাছের পরিমান এদিন বেশিই দেখা গেছে। মাইট্টা ও পোমা মাছের সরবরাহ বেশি হওয়ায় এসব মাছের দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমতির দিকে বলেও জানান মাছ ব্যবসায়ীরা।
বড় ট্রলার গুলো থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা ছোট ট্রলারে করে মাছ কিনে আনেন তারাও জানান, বর্তমানে ছোট আকারের ১ মণ ইলিশ ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং বড় আকারের ১ মণ ইলিশ ১ লাখ টাকায় কেনা বেচা হচ্ছে।
ফিশারীঘাটে টুনা বা সুরমা মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, গুইজ্জা মাছ ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শাপলা পাতা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, কৈ কোরাল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, লাল কোরাল ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, মামুদ্রিক পাঙ্গাশ মাছ ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ধরে হাসিমুখে ফেরার পাশাপাশি ডাকাতির শিকার হওয়ায় অনেক জেলের মুখে হাসি নেই। প্রচন্ড হতাশায় ভুগছেন তারা। আল্লার দান নামে একটি ট্রলারের জেলেরা জানান, ৮ দিন সাগরে থেকে তারা ইলিশসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ ধরেছিলেন। কিন্তু গতকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সাগরে সশস্ত্র ডাকাতরা এসে তাদের প্রায় সব মাছই নিয়ে গেছে। এ নিয়ে এই মৌসুমে তারা দ্বিতীয়বারের মত ডাকাতির শিকার হলেন। তাই সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান তারা।