সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫

বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কার হয়নি সেতু, ঘটছে দুর্ঘটনা


১৮ জানুয়ারী ২০২৪, ৬:২৯ অপরাহ্ণ 

বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কার হয়নি সেতু, ঘটছে দুর্ঘটনা
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

৩০ বছর আগে সেতুটি নির্মান করা হয়েছিল জাজিরা উপজেলা সদর ও পালেরচর ইউনিয়ন সংযোগ সড়কে গরম বাজার জোড়া ব্রীজ এলাকায় খালের উপরে। যাতায়াতের সুবিধা পেয়েছিল কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। গত প্রায় এক বছর আগে সেতুটির মাঝেখানের কিছু অংশ ধ্বসে পরে। এখন সেই সেতুই তৈরী হয়েছে মরণ ফাঁদে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে যানবাহন ও ঐ এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের দাবি এখানে দ্রুত নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হোক।

গতকাল বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটিতে একটি ভ্যান উঠলে আরেকজন মানুষ হেটে যাওয়া যায়না। পালেরচর সহ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের পারাপারের একমাত্র এই সেতুটির মাঝখানে বড় একটি গর্তের আকার হয়ে ধ্বসে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ সড়কে সেতুটি ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৬০ হাজার মানুষ এবং প্রচুর সংখ্যক অটোরিক্সা, ভ্যান সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে সব ধরনের যানবাহনসহ স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানান, বড় যানবাহন চলাচল করতে না পারায় এলাকায় কৃষি পণ্যসহ নির্মাণ সামগ্রী, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও অটোরিক্সা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দুর্ভোগ লাঘবে বার বার আশ্বাস দিলেও গত এক বছরে নতুন সেতু নির্মাণ কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটির সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

স্থানীয় অটোরিক্সা চালক জিয়াউর রহমান বলেন, 'প্রায় ১ বছর ধরে ব্রীজটি মাঝখানে ভেঙে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। এখানে প্রায় প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। নতুন ব্রীজ না করে দিতে পারলে ভেঙ্গে যাওয়া সেতু দ্রুত মেরামত করে দিলেও কিছু দুর্ভোগ কমে আসবে।'

মতিউর রহমান শিকদার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, 'ব্রীজের পূর্ব পাশেই আমার বাড়ী। প্রতিনিয়ত দিনে ও রাতে মাঝে মাঝে ব্রীজের এই ভাঙ্গা অংশের কারনে মোটরসাইকেল সহ এখান দিয়ে চলাচলকারী অনেক গাড়ী একপাশের চাকা ভাঙ্গায় পরে যায় তাতে মানুষ বসা থাকলে তারা পরে যায় অথবা গাড়ীতে যদি কোন মালামাল থাকে তা ঐ ভাঙ্গন দিয়ে খালে পরে যায়। এখান দিয়ে আমরা যারা চলাচল করি অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সেতু দিয়ে চলাচলের সময় ভয়ে থাকতে হয়, কখন যেন বাকী অংশগুলো ভেঙে পড়ে।

পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, 'সেতুটি আমার ইউনিয়নের সঙ্গে জাজিরা উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন বাসীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। ধ্বসে পড়া সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বাধ্য হয়ে চলাচল করছে।'

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী ইমন মোল্লা আজকের প্রসঙ্গকে বলেন, 'এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিঘ্রই একটি নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।'