
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর
১৭ জানুয়ারী ২০২৪, ৩:০১ অপরাহ্ণ
রাত ৮ টার দিকে হলের আবাসন সমস্যাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে হল থেকে বের হয় ছাত্রীরা। ৩য় বর্ষে এসেও গণরুমে থাকা, ৪ জনের সিটে ৬ জন দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৭/৮ জন , পর্যাপ্ত ওয়াশরুম না থাকাসহ নানা দাবি নিয়ে আসে তারা । আন্দোলনরত ছাত্রীরা জানায় তাদের এসব সমস্যা নিয়ে নিয়ে হল প্রভোস্ট নাজমুন নাহার এর কাছে সমাধান চাইলে তিনি এ বিষয়ে কর্ণপাত করেননি। উল্টো যারা প্রতিবাদ করেছে তাদের সিট বাতিল করার হুশিয়ারী দেন। তাই তারা বাধ্য হয়ে উপাচার্যের দারস্থ হওয়ার জন্য মনস্থির করে।
রাত প্রায় ১২ টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করে। শিক্ষার্থীদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পেরে উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল মূল ফটকের বাইরে আসেন এবং তাদের দাবিসমূহ শুনেন। তিনি ছাত্রীদেরকে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এক সপ্তাহের মতো সময় চেয়েছেন।
উপাচার্যের ভাষ্যমতে ইতোপূর্বে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত সিকদার মনোয়ারা ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যদিও কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী এখনো এই ভবনে অবস্থান করছে।
তিনি আরো বলেন এই হলের আবাসন সমস্যা দীর্ঘদিনের। আসন সংখ্যার তুলনায় শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন অতিরিক্ত এই চাপ সামলানোর জন্য ২০২২-২৩ সেশন থেকে এই হলে ছাত্রীদের অ্যালটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও তিনি নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।
তা সত্বেও ছাত্রীরা থাকা ও পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত পরিবেশ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি ক্যরিয়ার গঠন ও চাকরির প্রস্তুতি নিয়েও আশংকা প্রকাশ করে এবং অতিসত্বর সমস্যা সমাধানের জোড় দাবি জানায়।
উল্লেখ্য, আবাসন সমস্যা নিয়ে এর আগেও কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। তৎকালীন উপাচার্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।